শীতকাল মানেই আয়েশে রোদ পোহানো। বাড়ির বড়দের দেখে তা শিখে নেয় ছোটরাও। আজকাল রোদ পোহানোর অবকাশ না মিললেও, সেই নস্ট্যালজিয়ায় কিন্তু বাঙালি মনে ঢেউ তোলে। তবে, রোদ পোহানো স্রেফ শখ নয়। তা ঝলমলে করে তোলে মনকেও। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শীতকালে ঘিরে ধরে কুয়াশা। ঝাপসা চারিদিক। এ তো চেনা ছবি। তবে, সেই কুয়াশা যেন মনেও খানিক জমে। শীতকাল খানিক অবসাদেরও ঋতু। নানা দেশের সংস্কৃতিতে তাই শীতকাল নিয়ে বহু কথাবার্তা। এবং এই অবসাদ কাটানোর বা অন্ধকার থেকে আলোকময় করে তোলার নানা উপায় আছে শীত উদযাপনের মধ্যে। আমরা যে রোদ পোহাই, তাও এরকমই এক সংস্কৃতির অঙ্গ।
আরও শুনুন: স্মার্টফোন আসক্তিতেই যৌন ক্ষমতা হারাচ্ছে পুরুষ, কেন এমন দাবি বিশেষজ্ঞদের?
সাধারণত ঠান্ডার কবল ঠেকে মুক্তি পেতেই শীতের দ্বারস্থ হওয়া। এটিই রোদ পোহানো প্রথম এবং প্রধান কারণ। সূর্যালোক শরীরে এসে পৌঁছালে তা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও পূরণ করে। যা আবার সেরিটোনিন হরমোন ক্ষরণে সহায়ক। তার ফলে আমাদের মনমেজাজ চনমনে হয়ে ওঠে। সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিজর্ডার বা SAD অনেকটাই কেটে যায় সূর্যের আলোর সংস্পর্শে। সূর্যালোকের জন্য তাই অপেক্ষা করে শীতের দেশ। পাহাড়ি এলাকায় যেখানে দ্রুত সন্ধে নেমে আসে, সেখানেও সূর্যের জন্য থাকে অপেক্ষা।
আরও শুনুন: দীর্ঘ পুরুষাঙ্গ মানেই চরম সুখের চাবিকাঠি! কী বলছেন মহিলারা?
তবে শুধু রোদ পোহানো নয়, শীতকালীন অবসাদ কাটানোর আরও বেশ কিছু উপায় আছেই বলেমনে করা হয়। তার মধ্যে একটি হল, শীতে কাবু না হয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সমঝোতা করা। অর্থাৎ যতটা সম্ভব শীতের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এ ছাড়া নিজের ভালোলাগা কাজগুলো অর্থাৎ পজিটিভ হ্যাবিটসগুলোর যত্ন নেওয়া। এবং যত বেশি সম্ভব যোগাযোগ বাড়ানো, কথা বলা। তার মানে এই নয় যে রাতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। বরং তা যথাসম্ভব কমিয়ে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে যদি যোগাযোগ বাড়ানো যায়, তাহলে মন ভালো থাকবে। শীতের ঠান্ডা-ঠান্ডা কুয়াশামোড়া দিন খানিক বিষাদ ডেকে আনে বটে, তবে, তা কাটানো যায় সহজেই। আর তার মধ্যে অন্যতম হল মিঠে রোদ পোহানো। বিশ্বাস না হয় তো, এই শীতে একবার রোদ মেখেই দেখুন, মন ভালো হয়ে ওঠে কি-না!