বন্দুকের গুলির সামনে অস্ত্র কিনা ঝাঁটা! আর সেই হাতিয়ার দিয়েই বন্দুকবাজদের বিদায় করেই ছেড়েছেন এক মহিলা। কোথায় ঘটেছে এমন কাণ্ড? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বাংলায় ঝাঁটাপেটা করার প্রবাদ কে না জানে! ঝাঁটার জোরেই এককালে নাকি যে কাউকে দমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন দাপুটে মহিলারা, গল্পে তো এমনটাই শোনা যায়। কিন্তু যে কথা বলছি, তা তো গল্প নয়। একেবারে ঘোর বাস্তব। সেখানেই দেখা গেল, স্রেফ ঝাঁটার জোরেই বন্দুকবাজদের কার্যত তাড়িয়ে ছেড়েছেন এক মহিলা। হরিয়ানার সেই ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই চমকে গিয়েছেন সকলে।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে বরং খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: বন্দিদের মন বদলাবে হনুমান চালিশা পড়লেই, নয়া পদক্ষেপ যোগীরাজ্যে
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ভিওয়ানি এলাকায়। সকালে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজে হয়তো অনেকেরই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল, তবে চট করে কেউ বাইরে বেরোবার ঝুঁকি নেননি। মনে করা হচ্ছে, লরেন্স গ্যাং-এর সঙ্গে যুক্ত এক নেতাকে খুন করতেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরেছিল ওই ব্যক্তি। দুটি বাইকে চড়ে চার দুষ্কৃতী এসে লাগাতার গুলি ছুড়তে শুরু করে তার দিকে। জানা গিয়েছে, চারটি গুলি লেগেছে ওই ব্যক্তির গায়ে। আহত অবস্থায় বর্তমানে রহতাকের হাসপাতালে ভরতি সে। এ পর্যন্ত গল্পটা ছিল যে কোনও গ্যাংওয়ারের মতোই। কিন্তু এরপরেই গল্পে নতুন বাঁক আমদানি করেন এক মহিলা। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঝাঁটা হাতে বীরবিক্রমে ওই দুষ্কৃতীদের তাড়া করেছিলেন তিনি। গুলির শব্দে সেভাবে আর কেউ এগিয়ে না এলেও, ওই স্থানীয় মহিলা ছুটে এসেছিলেন। আর তারপরেই, ভয় না পেয়ে ঝাঁটা হাতেই বন্দুকের সামনে এগিয়ে যান তিনি। মহিলার এভাবে এগিয়ে আসার দরুন গুলি ছোড়া বন্ধ করে অকুস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় আততায়ীরা। আর তার জন্যই, আহত হয়েও প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ওই ব্যক্তি। আর সেই সবকিছু দেখেই ওই মহিলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।