গুজরাটে ফাইনাল বলেই বিশ্বকাপ পায়নি ভারত। বিরোধীদের সুরেই বিজেপিকে তোপ মমতার। কলকাতায় খেলা হলে জয় আসত দেশেই, সাফ দাবি নেত্রীর। ‘মহুয়াকে তাড়ানোই প্ল্যান বিজেপির’। টাকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ইস্যুতে সাংসদের পাশে মমতা। চোর নন জেলবন্দি অনুব্রত-পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়ও, জোর সওয়াল নেত্রীর। এখনও উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গেই আটক ৪১ জন শ্রমিক। ‘অভিশপ্ত’ টানেলে ঢুকলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং। বিশ্বকাপ নিয়ে মোদিকে ‘অপয়া’ কটাক্ষ ছুড়ে বিপাকে রাহুল। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নোটিস কমিশনের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বিশ্বকাপ ফাইনাল গুজরাটে হয়েছে বলেই হেরেছে ভারত। বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়েই এবার বিজেপিকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের বিশেষ সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমি তো এখনও বলতে পারি, ইন্ডিয়ার ফাইনাল যদি কলকাতাতে হত, ওয়াংখেড়েতে হত, আমরা জিততাম। আমাদের ছেলেরা এত ভালো খেলাধুলোয়। কিন্তু ওই গেরুয়া পরিয়ে দিল।” বিদ্রুপের সুরে মমতা বললেন,”আমরা সবকটা ম্যাচ জিতলাম। ১০টার মধ্যে ১০টাই জিতলাম। আর যেই পাপিষ্ঠরা গেল, হেরে গেল।” বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের কমলা প্র্যাকটিস জার্সি নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মমতা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, খেলার মধ্যে রাজনীতি কেন? এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, ভারতীয় দলের মূল জার্সিও গেরুয়া করতে চেয়েছিল বিজেপি।
এমনিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারের পর থেকেই কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করা শুরু করেছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদবের পাশাপাশি উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার তরফেও ধেয়ে এসেছে তোপ। এবার সেই সুরে সুর মেলালেন তৃণমূল সুপ্রিমোও।
2. টাকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খুলে মহুয়া মৈত্রের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদকে তাড়িয়ে দিয়ে ভোটের আগে বাড়তি প্রচার কুড়োনোই আসলে বিজেপির পরিকল্পনা, সাফ দাবি মমতার। শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে সংসদে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মৈত্র, এই অভিযোগে আপাতত সরগরম রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই মহুয়াকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁর সাংসদ পদ বাতিলের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দলের কী অবস্থান, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন খোদ দলনেত্রী।
পাশাপাশি এদিন জেলবন্দি অনুব্রত, পার্থ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শিক্ষক নিয়োগ থেকে রেশন কিংবা গরু পাচার মামলায় যখন সিবিআই-ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী, সেই সময়ে তাঁরা চুরি করতে পারেন না বলেই আত্মবিশ্বাসী দাবি মমতার। নেতাজি ইন্ডোরের মেগা সমাবেশের মঞ্চ থেকে এই ইস্যুতে মুখ খুলে বিজেপিকেই বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রী। গ্রেপ্তার হওয়া চার নেতা-মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে এবার পালটা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারিও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।