স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে হবে। নিজে পারেননি, তাই পড়শি যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। কিন্তু সেই কাজে ডাহা ফেল করেছেন ওই যুবক। আর তারপরেই সোজা আইনি পথে হাঁটলেন মহিলার স্বামী। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’, এ কথা বোধহয় জানতেন এই যুবক। তাই একবার দুবার নয়, ৭২ বার এক মহিলাকে অন্তঃসত্ত্বা করার জন্য চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও সফল হতে পারেননি। আর তাতেই বেধেছে গোল। এই ব্যর্থতার দায়ে তাঁকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও শুনুন: সেনাবাহিনীতে কাজ মানেও শরীর বিক্রি! কেন বলেছিলেন মিয়া খলিফা?
ভাবছেন, এ আবার কী কথা? কেউ বাবা হতে পারেননি বলে তাঁকে পুলিশে ধরবে কেন? আসলে গল্পটা যে অন্য। ওই যুবক নিজে বাবা হতে চাননি আদৌ। কিন্তু এক পড়শি মহিলাকে অন্তঃসত্ত্বা করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তাও নিজে থেকে নয়। তাঁকে ওই দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন খোদ মহিলার স্বামী।
হ্যাঁ, স্ত্রী যাতে অন্তঃসত্ত্বা হন, সেই মর্মেই পড়শি যুবককে বরাত দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কারণ তিনি নিজে সে কাজ করতে পারেননি। নিজে না পারার দরুন স্ত্রীর কাছে মুখ দেখানোই ভার হয়ে উঠেছিল তাঁর। সেই কারণেই দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়শির। জানা গিয়েছে, ডেমিট্রাস সুপলাস নামে ওই ব্যক্তি জার্মানির বাসিন্দা। বিয়ের পর তিনি জানতে পেরেছিলেন যে স্বাভাবিক পথে বাবা হওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এদিকে তাঁদের বাড়ির পাশেই থাকেন মাউস নামে এক যুবক, যিনি দুই সন্তানের বাবাও। ফলে আর কোনও পথ না খুঁজে নিশ্চিত সাফল্যের আশায় সোজা মাউসের দ্বারস্থ হন ডেমিট্রাস। রীতিমতো মোটা টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে নেন, যে, তাঁর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করবেন মাউস।
আরও শুনুন: সঙ্গীকে নিয়ে উদ্দাম যৌনতায় মাতলেন পর্ন তারকা, হঠাৎ পাশে হাজির পোষা সাপ! তারপর…
কিন্তু হলে হবে কি, ডেমিট্রাসকে নিরাশ করলেন ওই যুবকও। না, এমন নয় যে তিনি চেষ্টা করেননি। বরং একবার নয়, বারবারই চেষ্টা করেছেন ওই যুবক। ৬ মাস ধরে সপ্তাহে এক দিন একান্ত সময় কাটাতেন ডেমিট্রাসের স্ত্রী ট্রটে এবং মাউস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশা পূরণ হয়নি কারোরই। আর এতেই চুক্তিভঙ্গের দায়ে সোজা মাউসের নামে মামলা ঠুকে বসেছেন ডেমিট্রাস।