জ্যোতিষদের মুখে, গ্রহের দোষ কথাটা হামেশাই শোনা যায়। যে কোনও কাজে বাধার মূলে এই গ্রহের দোষকেই দায়ী করেন তাঁরা। সমস্যা মেটাতে মোটা টাকা খরচ করে যজ্ঞের বিধানও দেন কেউ কেউ। কিন্তু জানেন কি, স্রেফ কিছু প্রাণীকে নিয়মিত খেতে দিলেই কাটতে পারে গ্রহের দোষ! কোন প্রাণীকে খেতে দিলে কোন দোষ কাটে? আসুন শুনে নিই।
বাড়িতে পোষ্যের শখ অনেকেরই থাকে। সেক্ষেত্রে কুকুর, বিড়াল কিংবা মাছ-ই থাকে পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে। গ্রামের দিকে কারও বাড়িতে গোরুও দেখা যায়। তবে স্রেফ শখ নয়, এইসব পোষ্যের জন্য বদলাতে পারে আপনার ভাগ্যও।
আরও শুনুন: বাজির শব্দে পাখিদের যেন কষ্ট না হয়, দীপাবলিতেও ‘নীরব’ থাকে দেশের সাত গ্রাম
কী করতে হবে?
কিছুই না, স্রেফ নিয়মিত খাবার দিতে হবে এইসব প্রাণীদের। এমনিতেই রাস্তার কুকুরকে কিছু খেতে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। জ্যোতিষমতে এমনটা করলেই তুষ্ট হবেন শনিদেব। একইসঙ্গে কাটবে রাহু-কেতুর দোষ। যদিও জ্যোতিষীদের মতে, শনিবার কালো কুকুরকে খেতে দেওয়া বিশেষ ফলদায়ক। বেশি কিছু নয়, সামান্য রুটি কিংবা বিস্কুটই যথেষ্ট। তবে রং দেখে নয়, যে কোনও কুকুরকেই খেতে দিন। তাতে গ্রহের সমস্যা থাকলে তা যেমন কাটবে তেমনই পেট ভরবে অবলা প্রানীটিরও। এরপর বলতে হয় বিড়ালের কথা। অনেকের বাড়িতে পোষ্য হিসেবে বিড়াল দেখা যায়। কিংবা পোষ না মানালেও রাস্তার বিড়ালকে নিয়মিত খেতে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। জ্যোতিষমতে এমনটা করলে শত্রুনাশ হয়। যে কোনও কাজে বাধার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এই অভ্যাস। বিশেষত কেউ যদি বিড়ালকে নিয়মিত দুশ খাওয়ান তাহলে অবশ্যই ফল মেলে। অন্যদিকে বিড়ালকে দেবী ষষ্ঠীর বাহন মনে করা হয়। তাই বিড়ালের যত্ন নিলে তুষ্ট হন দেবীও। যার ফলে সুস্থ থাকে বাড়ির সন্তান। তালিকায় এর পরেই রয়েছে মাছ। অ্যাকোরিয়ামে মাছ রাখার শখ অনেকেরই রয়েছে। জ্যোতিষমতে নিয়মিত মাছকে খেতে দিলে অর্থভাগ্য শুভ হয়। এমনকি কোথাও ঋণ থাকলে তাও দ্রুত শোধ হতে পারে এই অভ্যাসের জেরে। চেষ্টা করুন সকাল বিকাল দু-বেলা মাছকে খেতে দেওয়ার। অ্যাকোরিয়াম না থাকলে কোনও জলাশয় বা পুকুরেও মাছের জন্য কিছু খাবার ফেলতে পারেন। এতেও একই ফল মিলবে। এরপর বলতে হয় পিঁপড়ের কথা। ভাবছেন তো, এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে কেউ তো আর পোষ মানায় না! তবে কারও বাড়িতে পিঁপড়ে নেই এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। চেষ্টা করুন তাদের জন্য রোজ খাবারের সামান্য টুকরো মাটিতে ফেলে রাখার। পিঁপড়ে ধরলে তা সরিয়ে দেবেন না। প্রয়োজনে অন্যত্র সরিয়ে রাখুন যাতে আর কোনও খাবার নষ্ট না হয়। তবে পিঁপড়ে যদি নিয়মিত আপনার দেওয়া খাবার খায়, তাহলে রাহুর দোষ থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। একইসঙ্গে যে কোনও ইচ্ছাপূরণেও কাজে আসতে পারে এই অভ্যাস। তালিকায় পরের প্রাণীটি পাখি। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পাখিকে খাওয়ানোর বিভিন্ন ধরনের ফল রয়েছে।
আরও শুনুন: চোখের জল মুছিয়ে দেবে হ্যান্ডসাম যুবক, বদলে কত টাকা খরচ হবে জানেন?
তবে সামগ্রিক ভাবে গরুকে খাওয়ানোর ফল সর্বাধিক। হিন্দুধর্মে গোরুকে মাতৃরূপে পুজো করা হয়। তার অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গেও এই প্রাণীর বিশেষ যোগ রয়েছে। জ্যোতিষমতে গোরুকে নিয়মিত খাওয়ালে ম্যাজিকের মতো বদলে যায় ভাগ্য। কোনও নির্দিষ্ট গ্রহ নয়, এই অভ্যাসের জেরে কেটে যায় ভাগ্যের যাবতীয় দোষ। ভক্তিভরে গোরুকে খাবার ও জল খাওয়ানোর মতো পুন্যের কাজ আর হয় না বলেও দাবি করেন অনেকেই। তবে ফল মিলুক না মিলুক, অবলা প্রাণীকে খাওয়ালে ক্ষতি অন্তত হবে না। বরং সেই অভুক্তের আশীর্বাদই মিলবে। তাই চেষ্টা করুন বাড়ির আশেপাশে থাকা এইসব অবলা প্রাণীদের কিছু না কিছু খাওয়ানোর। এতে আপনার মনও ভালো থাকবে, ওই প্রাণীটিও ভালো থাকবে।