মমতার নির্দেশেও বদলাল না বিশ্বভারতীর নামফলক। উলটে তৃণমূল নেতাদের নিশানা করে, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ উপাচার্যের। পলাটা জবাব কুণালের। এবার ইডির নজরে প্রিয়দর্শিনী। রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা মন্ত্রীকণ্যার। উৎসবের মরশুমে স্বদেশী পণ্য কেনার ডাক মোদির। মহুয়ার বিরুদ্ধে এবার আসরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ। প্রার্থনা চলাকালীন কেরলের কনভেকশন সেন্টারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। ঘটনায় মৃত এক, আহত বহু।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর কেটেছে তিনদিন। তবু বিশ্বভারতীর নামফলকে ফেরেনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের নাম। যদিও মমতার নির্দেশে সেখানে লাগাতার ধরনা শুরু করেছে তৃণমূল। প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী এ ইস্যুতে সরব হওয়ায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ওটা অস্থায়ী ফলক। নাম লেখায় ভুল হয়েছে। কিন্তু তার পর তিনদিন কেটে গেলেও তা বদলানো হয়নি। উলটে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পালটা জবাব হিসেবে চার পাতার বিবৃতি পেশ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। আত্মপক্ষ সমর্থনে নামফলক বিতর্কে জল ঢালতে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের লিখিত বিবৃতিতে নাম না করে তৃণমূল নেতাদেরও আক্রমণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বভারতীর রাস্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন চলছিলই। নামফলক বিতর্ককে ইস্যু করে ফের সেই রাস্তার দাবিতেও শান দিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে, এদিন শান্তিনিকেতনের ধরনামঞ্চ থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে পলাটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। একইসঙ্গে উপাচার্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। ‘চতুর্থ শ্রেণির বিজেপি ক্যাডারের মতো ভাষা প্রয়োগ করেছেন উপাচার্য, এদিন পালটা হিসেবে ঠিক এই জবাবই দিয়েছেন কুণাল। অন্যদিকে, নামফলক বিতর্কে বিশ্বিভারতীর উপাচার্যকে বিঁধছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সরাসরি ‘ভণ্ড’ বলে দাবি করে, নামফলকের ঘটনাটি অতিরিক্ত তৈল-মর্দন বলে দাবি করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই ইস্যুতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসকদল-সহ আরও অনেকেই।
2. এবার ইডির দপ্তরে জ্যোতিপ্রিয়কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। রবিবার সকালে একাধিক নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে বেরিয়েও যান তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারির পর থেকেই একাধিক নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১২ কোটি ৬ লক্ষ টাকার ভুয়ো শেয়ার প্রিমিয়াম জমা দেওয়া হয়েছিল। ইডির জেরায় রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর জানিয়েছে, ওই সংস্থাগুলি থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা আর তিনি ফেরৎ দেননি। মূলত ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সবজি ও খাদ্যশস্য বিক্রি করা হয়। পরে তদন্তে জানা যায় যে, ওই সংস্থাগুলির কর্ণধার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়ে। এই সূত্র ধরেই ইডির নজরে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তিনি।
অন্যদিকে, এখনও হাসপাতালেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জানা গিয়েছে, শনিবার বাম হাতে বিশেষ জোর পাচ্ছিলেন না তিনি। তারপর দিনভর তাঁর নানা শারীরিক পরীক্ষা চলে। রাতে হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়, স্থিতিশীলই রয়েছেন মন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।