ধার জমে গিয়েছিল এক কোটি টাকারও বেশি। সেই ধার শোধ করে উলটে এখন নিজেই কোটিপতি এই মহিলা। সৌজন্যে স্রেফ কিছু খোলামেলা ছবি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পরনে কালো লেসের অন্তর্বাস। শরীরের অধিকাংশই উন্মুক্ত। পায়েও মানানসই কালো স্টিলেটো। আবেদন যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সোনালি চুল। আর এহেন ছবি দিয়েই তুমুল জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নিয়েছেন এই তরুণী। অবশ্য এই একটিমাত্র ছবি নয়, তাঁর গোটা প্রোফাইল জুড়েই এমন খোলামেলা ছবির মেলা। তার কোথাও উন্মুক্ত বক্ষবিভাজিকার হাতছানি তো কোথাও সাহসী বিকিনি, কোথাও আবার অন্তর্বাসের উপর আধখোলা শার্ট পরেই আবেদন বাড়িয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম লেসি স্টিল। বয়স বছর ৩২। পেশায় ছিলেন নার্স। তাতে যে বিপুল আয় উপার্জন ছিল এমনটা নয়। কিন্তু পেশা বদল করতেই রাতারাতি বদল ভাগ্যেরও। যেখানে ধারের পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকায়, সেখানে নিজেই কোটিপতি হয়ে গেলেন এই মহিলা। সৌজন্যে কেবল কিছু খোলামেলা ছবি। আর তাতেই বাজিমাত করেছেন এই নার্স।
আরও শুনুন: বিয়ের পরেও নিয়মিত পর্ন দেখার অভ্যাস! কী প্রভাব পড়তে পারে সঙ্গীর উপর?
আগেই বলা হয়েছে, নার্সের কাজ করেই জীবিকা উপার্জন করতেন এই মহিলা। কর্তব্যে কোনও গাফিলতিও করেননি তিনি। কিন্তু একসময় তাঁর শরীরে ধরা পড়ে টিউমার চিকিৎসার খরচ যথেষ্টই। অথচ দেখা গেল, এই চাকরির সূত্রে কোনও বাড়তি আর্থিক সুবিধা জুটছে না। তা ছাড়া এ কাজ করতে যে তাঁর খুব একটা ভালো লাগত এমনটাও তো নয়। সেই সময়ে অন্য একটি পথ ধরেন তিনি। নিজেরই কিছু ছবি বিক্রি করতে শুরু করেন। অবশ্য সেসব ছবি রীতিমতো খোলামেলা। রাতারাতি তার ফলও পান। ফলোয়ার্স বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর দৌলতেই তিনি হয়ে ওঠেন কোটিপতি। মাত্র তিন মাসেই বেশিরভাগ ধার শোধ হয়ে যায় তো বটেই, সঙ্গে জুটে যায় অনেকটা বাড়তি টাকাও। বলতে গেলে, যৌন আবেদনময় সেই সব ছবিই তাঁকে সুদিন দেখিয়েছে। চাইলে তাঁর সঙ্গীও হতে পারেন কোনও অনুরাগী। শুধু টাকাই নয়, গোটা মার্কিন মুলুক থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এমন নতুন নতুন দেশে যাওয়ার পথও তাঁর কাছে খুলে দিয়েছে এইসব ছবিই। আর নিজের এই নয়া অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে দিব্যি খুশিই আছেন এই তরুণী।