পুরুষাঙ্গের আকার বা আকৃতির উপর কি যৌনসুখ নির্ভর করে? অনেকেরই মনে জেগে আছে এই প্রশ্ন। কেউ কেউ এ নিয়ে হীনমন্যতাতেও ভোগেন। তবে, এ বিষয়ে কী বলছেন অভিজ্ঞরা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কি যৌনসুখকে প্রভাবিত করে? এ প্রশ্ন অনেকটা ধাঁধার মতো। কেননা, এ নিয়ে অজস্র ভুল ধারণা ছড়িয়ে আছে। ভাসা-ভাসা ধারণার বশে অনেকেই এ নিয়ে মনোকষ্টে ভোগেন। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, সাধারণত পুরুষরা যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য ২১ শতাংশ বাড়িয়ে বলে থাকেন। অর্থাৎ ব্যাপারটি যে নিছক রসিকতার নয়, তা মালুম হয়। তবে, এই ধারণা কতটা সত্যি? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে, সম্প্রতি এক ডেটিং গুরু বেশ চমকপ্রদ তথ্যই জানিয়েছেন।
আরও শুনুন: কন্ডোম পরে সঙ্গমেই পকেটে ১০ হাজার! মিলবে কোন শর্তে?
অস্ট্রেলিয়ার জনা হকিং এ নিয়ে এক দীর্ঘ সমীক্ষা চালান। প্রায় ৩২ হাজার মানুষের থেকে মতামত নেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭৬ শতাংশ মানুষই জানাচ্ছেন পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য অন্তত যৌনসুখের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলে না। আর বড় পুরুষাঙ্গ মানেই যে তৃপ্তির মাত্রা বাড়বে এমন কোনও কথা নেই। জনার মতে, দীর্ঘ পুরুষাঙ্গ যাঁদের আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গই বরং অস্বস্তির কারণ। কারণ, পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য শুধু বেশি হলেই হবে না, তার যত্নও নিতে হবে। আর দীর্ঘ পুরুষাঙ্গ পাওয়াও সহজ ব্যাপার নয়। তার জন্য যথেষ্ট কসরতের প্রয়োজন। উপরন্তু সঙ্গিনীর কাছে দীর্ঘ পুরুষাঙ্গের প্রভাব কীরকম, তাও ভাবা দরকার। কেননা এই ধরনের পুরুষাঙ্গের দরুন সঙ্গমকালীন যে ঘর্ষণ, তা সঙ্গিনী নাও পছন্দ করতে পারেন। অর্থাৎ, দীর্ঘ পুরুষাঙ্গই যে সঙ্গমসুখের একমাত্র চাবিকাঠি, এমন কথা বলছেন না জনা। এবং তাঁর সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। জনা বরং অভিজ্ঞদের মতামত নিয়েই জানাচ্ছেন যে, এর দরুন যেমন মহিলারা সমস্যায় পড়েছেন, তেমন ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছেন পুরুষরাও। এমনকি, শুধু যৌনতা নয়, সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেই প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
আরও শুনুন: বাথরুমের গোপন অভ্যাসেই মিলবে ব্যক্তিত্বের পরিচয়, জানেন কীভাবে?
তাহলে পুরুষদের কি এ বিষয়ে আদৌ চিন্তা করার মতো কিছু আছে? জনা বলছেন, একেবারেই নয়। পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কতটা, তা সঙ্গমের ক্ষেত্রে বড় বিষয় নয়। বরং সঙ্গমের সঠিক পদ্ধতি, এবং কতক্ষণ তা স্থায়ী হচ্ছে তা অনেক বেশি জরুরি বিষয়। মহিলাদের মতামত নিয়েই তিনি জানাচ্ছেন, দীর্ঘ পুরুষাঙ্গই যে নারীদের একমাত্র পছন্দের তা নয়। বরং এই ধারণা অনেকাংশেই ভুল। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, সেক্স টয় যাঁরা কেনেন, তাঁরাও দৈর্ঘ্যের উপর ততটা নজর দেন না। সাধারণ আকৃতির সেক্স টয়-ই এক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে। অপর একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, সাধারণত ৬ ইঞ্চির সেক্স টয় সাধারণত কিনে থাকেন নারীরা। বাস্তবেও তাই-ই। অকারণ দীর্ঘ পুরুষাঙ্গ পছন্দ নয় কারোরই। এমনকি, এই সব ধারণা যেখান থেকে জন্ম নয়, সেই পর্ন ছবির সব কিছুও সত্য নয়। অতএব জনার মতে, এ নিয়ে চিন্তা করা অযথা। আর তাই সঙ্গম সুখের হয় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যে নয়, বরং তাঁর ঠিক ব্যবহারে। এই কথাটি মনে রাখলেই হীনমন্যতার আর কোনও কারণ থাকে না বলেই জানাচ্ছেন অভিজ্ঞরা।