শুধু জামা নয়, পুজোয় চাই নতুন জুতোও। কিন্তু মুশকিল একটাই, সেই জুতো পরে বেশিক্ষণ হাঁটলেই পায়ে ফোস্কা অবধারিত। তাই বলে কী ঠাকুর দেখতে যাবেন না? নিশ্চয়ই যাবেন। শুধু নতুন জুতো পড়ার আগে খেয়াল রাখুন কয়েকটা বিষয়। ঠিক কী করবেন? আসুন শুনে নিই।
পুজো মানেই প্যান্ডেল হপিং। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা পায়ে হেঁটে। সেক্ষেত্রে জুতো যদি মনের মতো না হয়, তাহলে সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। একটু বেশি হাঁটলেই পায়ে ফোসকা। তারপর সেই ফোস্কা নিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে রক্তারক্তি পর্যন্ত হতে পারে। তবু নতুন জুতো চাই ই চাই। জামা কিংবা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং জুতো না হলে, ঘোরার আনন্দটাই মাটি।
আরও শুনুন: ভারত জোড়ো’র পোস্টার হাতে মক্কার সামনে ছবি! কংগ্রেস নেতাকে চাবুক, জেলের শাস্তি সৌদি আরবে
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা! দুর্গাপুজোয় ভিড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। মহালইয়া মিটলেই থেকে ৮ থেকে ৮০-র মন চলে যায় মণ্ডপে। বর্তমানে বেশ কিছু মণ্ডপ ওই সময় উদ্বোধনও হয়ে যায়। তাই এই সময় থেকেই রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। কিন্তু সেই ভিড়ে এমন অনেককেই দেখা যায়, যারা ধোপদুরস্ত জামা কাপড় পরে, পায়ের জুতো হাতে নিয়ে খানিক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। কী ভাবছেন এমন অভিজ্ঞতা আপনারাও হয়েছে? সেটা হওয়াই অবশ্য খুব স্বাভাবিক। এর কারণ নতুন জুতো। নতুন জামা, নতুন গয়নার মতোই পুজোয় নতুন জুতো না হলে চলে না অনেকেরই। কিন্তু সেই নতুন জুতো পরে বেশিক্ষণ হাঁটলেই পায়ে ফোসকা। আসলে নতুন জুতো, বিশেষত চামড়ার জুতোর ক্ষেত্রে তার ভিতরের বেশ কিছু অংশ শক্ত থাকে। সেই অংশের সঙ্গে পায়ের চামড়া ক্রমাগত ঘষা লেগেই ফোসকা পড়ে। কিন্তু কী করলে এই সমস্যা থেকে বাঁচবেন?
আরও শুনুন: বিয়ে ভাঙলেও নেই রেহাই! অন্য পুরুষের কাছে চড়া দামে বিক্রি স্ত্রী, অদ্ভুত প্রথা রাজস্থানে
একটা নয়, উপায় রয়েছে বেশ কয়েকটা। আর সবক্ষেত্রেই সাধারণ কিছু ঘরোয়া টোটকা মানলেই কাজ হবে। প্রয়োজনও কিছু সাধারণ জিনিস। এক্ষেত্রে যা সবথেকে বেশি কাজে আসে তা হল, নারকেল তেল। কিংবা ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলিও একইভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। তা কী করতে হবে? প্রথমে যে জুতোটা পরে বেরোবেন বলে ঠিক করেছেন, তার ভিতরের অংশে লাগিয়ে রাখুন নারকেল তেল। কাজটা আগের রাতে করলে সবথেকে ভালো। নিতান্তই তা না হলে, সকালে উঠেই এমনটা করে ফেলুন। চামড়ায় জুতোয় এর ফলে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে ওই জুতো পরে বেরোনোর আগে ভালভাবে শুকনো কাপড় দিয়ে ভিতরের অংশটা মুছে নিন। এইসময় তেল বা ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন আপনার পায়ে। আসলে দীর্ঘক্ষণ শক্ত চামড়ায় তেল লাগিয়ে রাখলে তা কিছুটা হলেও নরম হয়। একইভাবে পায়ে তেল মেখে জুতো পড়লে ফোসকার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। তবু যতই সাবধান হন, নতুন জুতো দীর্ঘক্ষণ পরলে পায়ের কিছু জায়গা অন্তত লাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেয়াল রাখবেন, সেটাই হল ফোস্কার পূর্ব লক্ষণ। বাড়ি ফিরে যদি দেখেন পায়ে এমনটা হয়েছে, তাহলে অবশ্যই কোনও অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা অয়েললেন্ট লাগিয়ে নিন। সারারাত ওইভাবে থাকলে সকালে উঠে দেখবেন আবার স্বভাবিক হয়ে গিয়েছে সবটা। তারপর ওই জুতো আবার পরলেও বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু চেষ্টা করবেন ফোসকা পড়লে সেই পা নিয়ে খুব বেশি হাঁটাহাঁটি না করার। এক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। রাস্তায় খুব অসুবিধা হলে একটা ব্যান্ডেড লাগিয়ে নিন। তারপর বাড়ি ফিরে ভালো করে পা ধুয়ে অন্য ওষুধ লাগাতে পারেন। আর এমনটা হলে পরের কয়েকদিন হালকা কোনও জুতো পরুন। চটি জাতীয় কিছু পরলে সবথেকে ভালো। এক্ষেত্রে ঘষা লাগার সম্ভাবনা সবথেকে কম। তাহলে এই সাধারণ উপায় মাথায় রেখে ঠাকুর দেখতে বেরোলেই আর ফোস্কার ভয় থাকবে না। তায় নতুন জুতো পরে স্টাইলও হবে, সঙ্গে পুজোর আনন্দও বজায় থাকবে।