পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরও তৎপর সিবিআই। রবিবার তল্লাশি ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের বাড়িতে। অভিষেকের ধরনা নিয়ে প্রশ্ন রাজভবনের। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে কীভাবে ধরনা, জানতে চিঠি মুখ্যসচিবকে। বঞ্চিতদের সঙ্গে দেখা করতে ফিরছেন রাজ্যপাল। বিজেপি ছেড়ে এবার তৃণমূলে যোগ অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্রের। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে তীর্থ করতে গিয়ে বিপত্তি। সপরিবারে আটকে রাজ্যসভার সাংসদ। আটকে বহু ভারতীয় পড়ুয়াও। ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও তৎপর সিবিআই। রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল হানা দিল মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে। এদিন সকালে সিবিআই-এর একটি দল গিয়ে পৌঁছয় ফিরহাদের চেতলার বাড়িতে। মোট ৫-৬জন সিবিআই আধিকারিক তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিকও। মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে, ফিরহাদের বাড়িতে সিবিআই হানার কথা শুনেই অনুগামীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হেনস্তা করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। পাশাপাশি এদিনই সিবিআই হানা দেয় মদন মিত্রের বাড়িতে। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের ভবানীপুরের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুরু হয় জোর তল্লাশি। তদন্তকারীদের আর একটি দল গিয়ে পৌঁছায় তাঁর দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতেও। তবে প্রায় ছ-ঘণ্টা তল্লাশির পর মদন মিত্রের বাড়ি এবং অফিস থেকে কার্যত শূন্য হাতেই ফেরে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা কিছুই বাজেয়াপ্ত করেনি বলেই দাবি বিধায়কের। তদন্তকারীরা বেরনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুঙ্কার দিয়ে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় পালটা হুঙ্কার দেন মদন মিত্র। বলেন, “সিবিআই, ইডি যতবার ডাকবে, উত্তর দেব। কিন্তু একসময় প্রশ্ন করব। বলব বাইরে গিয়ে বিবৃতি দিন, মদন মিত্রের মতো সাচ্চা নেতা নেই।” তল্লাশির পরেও স্বভাবসিদ্ধ রসিকতার মেজাজেই দেখা যায় নেতাকে। এদিকে সিবিআই তল্লাশি শেষে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। বিজেপিতে নাম লেখাননি বলেই তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নই তোলেন মেয়র। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে পদ ছেড়ে দেবেন। একই সঙ্গে দুই হেভিওয়েটের বাড়িতে হানা নিয়ে দিনভর সরগরম থাকল রাজ্য-রাজনীতি।
2. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল রাজভবন। বিগত চারদিন ধরে রাজভবনের সামনে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে ধরনায় বসেছেন অভিষেক। কিন্তু ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে কীভাবে এই অবস্থান, এবার সেই প্রশ্নই তুলেছেন খোদ রাজ্যপাল। অভিষেকের ধরনার প্রথম দিনই শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে এই একই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি ছিল, রাজভবনের ১৫০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিনিধিরা সেখানে ধরনা করছেন। মনে করা হচ্ছে, কলকাতায় ফিরে সেই একই প্রশ্নে নবান্নকে বিদ্ধ করতে পারেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। শোনা যাচ্ছে, রাজভবনের তরফে এই ইস্যুতে কড়া চিঠি দেওয়া হচ্ছে মুখ্যসচিবকে। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে কীভাবে অভিষেকদের ধরনা, সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আরও দুটো বিষয়ে ওই চিঠিতে আলোকপাত করা হবে। এদিকে, উত্তরবঙ্গ থেকে রবিবারই কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, শহরে ফিরে ‘বঞ্চিত’দের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। এদিন উত্তরবঙ্গ থেকেই একথা সাফ জানিয়েছেন আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, বঞ্চিতদের থেকে সরাসরি অভিযোগ শুনবেন। তার পর শুধু কেন্দ্র নয়, বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবেন তিনি। পাশাপাশি শহরে ফিরে তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।