কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রদ হল ফাঁসির সাজা। আমৃত্যু কারাদণ্ড ২ জনের, বেকসুর খালাস ৪। রাজভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনেও ধরনায় অভিষেক। উপাচার্য নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যপালের।স্থায়ী পদের পাশাপাশি অস্থায়ী নিয়োগেও সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়াদের। সুপ্রিম কোর্টে জানাল মোদি সরকার।চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কার নার্গিস মহাম্মদির। এশিয়াড হকিতে সোনা জয়ের দৌলতে মিলল অলিম্পিকের ছাড়পত্র। কবাডিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সোনার লক্ষ্যে ভারত।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 03 অক্টোবর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ধরনারত ‘বঞ্চিত’রা প্রাপ্য পাবেনই, টাকা দেওয়ার বড় ঘোষণা অভিষেকের
বিস্তারিত খবর:
1. কামদুনি গণধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা কলকাতা হাই কোর্টের। দোষী আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লার ফাঁসির সাজা রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অন্য দিকে, নিম্ন আদালতে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটার কারণে খালাস পেয়েছেন হাই কোর্ট থেকে।
২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল কামদুনি। ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কামদুনি সফরের সময় তাঁর সামনে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে ঘটনার তদন্তের ভার পায় সিআইডি। চার্জশিটে অভিযোগ আনা হয় ন’জনের বিরুদ্ধে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে দোষী ছ’জনের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয় অন্য দুই অভিযুক্তকে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সাজাপ্রাপ্তেরা। শুক্রবার আদালতের রায় কার্যত গেল তাদের পক্ষেই, যা দেখে হতাশ কামদুনির প্রতিবাদীরা। তবে আন্দোলনে ইতি টানতে তাঁরা নারাজ। সুপ্রিম কোর্টে পালটা আবেদনের পথে হাঁটবেন বলেই জানাচ্ছেন মৌসুমী-টুম্পারা।
2. ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে আরও বাড়ল কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ। বঞ্চিতদের প্রাপ্য আদায়ে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে, এই দাবিতে রাজভবনের সামনে ধরনা জারি তৃণমূলের। ধরনার দ্বিতীয় দিনেও অবস্থানে অনড় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপাল দেখা না করা পর্যন্ত একচুলও নড়বেন না তিনি। রাজভবনের সামনে ধরনা দেওয়া নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে রাজ্যপালের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই কলকাতা ফিরছেন না আনন্দ বোস। শনিবার ফের যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। আর দার্জিলিংয়ের রাজভবনেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। শুক্রবার এই বার্তা পেয়ে ধরনা মঞ্চ থেকে অভিষেকের সাফ কথা, তৃণমূলের তিন প্রতিনিধি – কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার যাবেন দার্জিলিংয়ে। কিন্তু রাজ্যপালকে রাজভবনে এসেই ধরনারতদের সঙ্গে দেখা করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। এদিকে এর মধ্যেই তৃণমূল প্রতিনিধিদের দিল্লি অভিযানকে ‘তামাশা’ বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে দেখা করার সদিচ্ছাই ছিল না তৃণমূল প্রতিনিধিদের। তিনি মিথ্যা বলছেন বলেই পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।