গাড়ি, সাইকেল কিংবা দামি মোবাইল নয়। চুরি হয়েছে আস্ত একটা বাসস্ট্যান্ড। প্রায় ১০ লাখের ওই বিশ্রামাগার নিয়ে রাতারি উধাও হয়েছে চোরের দল। কোথায় ঘটেছে এই কান্ড? আসুন শুনে নিই।
তৈরি হতে বেশ দেরি হয়েছে। দৌড়ে বাস না ধরলে অফিসে ফের দেরি। কোনওক্রমে নাকে মুখে দুটি গুঁজে হাজির হলেন নির্দিষ্ট জায়গায়। কিন্তু একি, সেখানে তো বাসই থামছে না। থামবেই বা কী করে! যেখানে দাঁড়িয়েছেন সেখানে বাসস্ট্যান্ডই তো নেই। এদিকে রোজ সেখান থেকেই বাস ধরেন, তাই জায়গা ভুল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই! তাহলে, বাসস্ট্যান্ডটা গেল কোথায়?
আরও শুনুন: স্রেফ ওষুধ নয়! আইসিইউ-র রোগীকে সারাতে ‘ভজন’ শোনানোর সিদ্ধান্ত হাসপাতালের
সম্প্রতি এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর কানিংঘাম অঞ্চলের বাসিন্দাদের। রাতারাতি সেখানকার এক বাসস্ট্যান্ড উধাও হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই শহরের ওই এলাকা বেশ জনপ্রিয়। এই বাসস্ট্যান্ডে শহরের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার বাস থামে। পাশাপাশি সেখান থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর। এমন এক অঞ্চল থেকে বাসস্ট্যান্ড চুরি করা তো আর মুখের কথা নয়! তার এ কোনও ছোটখাটো জিনিসও নয়। তবু রাতের অন্ধকারে সেই কাজ হাসিল করেছে চোরের দল। যদিও এই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি, যে এই কাজ কোনও একজন করেছে নাকি দলবেঁধে এই চুরি হয়েছে। তবু তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যেতেই পারে, একজনের পক্ষে এত বড় জিনিস নিয়ে চম্পট দেওয়া সম্ভব হত না। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। কিন্তু অনেকেই হয়তো ভাবছেন, বাসস্ট্যান্ড নিয়ে পালানো কী আদৌ সম্ভব?
আরও শুনুন: মহিলা ভোট টানতে সংরক্ষণের ‘ললিপপ’ ধরাচ্ছে বিজেপি! মধ্যপ্রদেশে তোপ কংগ্রেসের
আসলে, সাধারণত বাসস্ট্যাণ্ড বলতে আমরা যেমনটা বুঝি, এই বিশ্রামাগার ঠিক তেমন নয়। গোটাটাই একটা লোহার খাঁচা। সেখানেই ছিল আধুনিক মানের চেয়ার, পোল ইত্যাদি সরঞ্জাম। এমনকি এই বাসস্ট্যান্ডটি খুব বেশিদিনের পুরনোও নয়। দেখতে বেশ ঝাঁ চকচকেই বলা চলে। জানা গিয়েছে, এই বাসস্ট্যান্ড তৈরি করতে মোট দশ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কাজেই তা চুরি যাওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন পরিবহন দপ্তরের কর্তারা। পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ড না থাকলে বাস দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের একশেষ। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।