এবার ইন্ডিয়া বনাম ভারতের নাম বিতর্কের প্রভাব পড়ল রাষ্ট্রসংঘেও। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ইন্ডিয়া নয়, ভারত বলেই নিজের দেশকে তুলে ধরলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বদলে যেতে পারে দেশের নাম, এই জল্পনায় সম্প্রতি উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। জি-২০ বৈঠকের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই যে জল্পনার সূচনা, এবার রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক বৈঠকেও ইঙ্গিত মিলল সেই বিতর্কেরই। সৌজন্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রসংঘের ৭৮তম সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইন্ডিয়া নয়, ভারত বলেই নিজের দেশকে সম্বোধন করলেন তিনি।
আরও শুনুন: ওয়াহিদার সম্মানেও জুড়ল মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গ, এখানেও কি ভোটের বার্তা শাসক দলের?
বিরোধী জোটের নামে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহার হওয়ার পর থেকেই উসকে উঠেছে দেশের নামবদলের জল্পনা। দেখা যাচ্ছে, বারেবারেই দেশকে ভারত বলেই সম্বোধন করছেন মোদি সরকারের নেতামন্ত্রীরা। জি-২০ সমাবেশের আগে রাষ্ট্রপতি ভবনের পাঠানো চিঠিতে ‘ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা হয়েছিল। এমনকি সমাবেশেও প্রধানমন্ত্রী মোদির সামনের ফলকে লেখা ছিল ‘ভারত’। আর এবার রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতা রাখতে গিয়েও জয়শঙ্কর শুরুতেই রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশে বললেন, ‘নমস্তে ফ্রম ভারত’। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮ তম অধিবেশনে এই তিন শব্দ দিয়েই নিজের ভাষণ শুরু করলেন বিদেশমন্ত্রী। আবার বক্তৃতার শেষে এই ভারতেরই ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, “আমি এমন একটি দেশ ও সমাজের পক্ষ থেকে কথা বলছি, যেখানে আধুনিকতার সঙ্গে মিশে গিয়েছে প্রাচীন গণতন্ত্রের ঐতিহ্য। ঐতিহ্য ও প্রযুক্তিকে মিলিয়েই তৈরি হয়েছে আজকের ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত।” ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’, কথাটিই শেষে মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
আরও শুনুন: ৫১ মিনিটের ভাষণে ৪৪ বার কংগ্রেসের নাম! মোদিকে খোঁচা হাত শিবিরের নেতার
এর আগেও এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন জয়শঙ্কর। দেশের নাম বদল নিয়ে যখন কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছিলেন বিরোধীরা, সেই সময়েও তাঁদের দেশের সংবিধান পড়ে দেখার উপদেশ দিয়ে তোপ দেগেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, সংবিধানেই উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’। অর্থাৎ ইন্ডিয়াই ভারত। তিনি আরও বলেছিলেন, যখন ‘ভারত’ শব্দটা উচ্চারণ করা হয়, তখন যে অর্থ প্রতিফলিত হয় তা সংবিধানকেই নির্দেশ করে। এবার রাষ্ট্রসংঘের সভায় দেশকে ভারত বলে সম্বোধন করে নিজের সেই অবস্থানেই অনড় রইলেন জয়শঙ্কর।