৫১ মিনিটের ভাষণ। তার মধ্যে অন্তত ৪৪ বার কংগ্রেসের নাম নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই তথ্য তুলে ধরেই মোদিকে কড়া তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা। ঠিক কী অভিযোগ তাঁর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সুযোগ পেলেই আগের সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের যে কোনও সমস্যার জন্যই কংগ্রেসকে দায়ী করে থাকেন তিনি। আর সেই কারণেই তাঁর অধিকাংশ বক্তব্যেই বারবার কংগ্রেসের নাম উঠে আসে। তা নিয়েই এবার মোদির প্রতি কটাক্ষ ছুড়লেন হাত শিবিরের নেতা পবন খেরা।
আরও শুনুন: মোদি এসে বললে তবেই বাইক থেকে নামব, ট্রাফিক আইন ভেঙেও বেপরোয়া মহিলা
পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য মসনদ ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল। এদিকে তার আগেই চলতি বছরের শেষে ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম এবং মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মধ্যপ্রদেশে কয়েক লক্ষ নেতা-কর্মীকে নিয়ে ‘কার্যকর্তা মহাকুম্ভ’ শুরু করেছে বিজেপি। আর রাজধানী ভোপালে আয়োজিত ওই কর্মসূচির সূচনা করেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসকে ‘মরচে পড়া লোহার’ সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের শাসন চলেছে। কিন্তু সেই আমলে মধ্যপ্রদেশ উন্নয়ন এবং অর্থনীতির নিরিখে ‘রুগ্ন রাজ্যে’ পরিণত হয়। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে দুর্নীতি, দারিদ্র্য এবং তোষণের তুলনা টেনে মোদি আরও দাবি করেছেন যে, আর্বান নকশালদের মদত দিচ্ছে কংগ্রেস। আর এই সব প্রসঙ্গেই বারে বারে বিরোধী দলটির নাম উঠে এসেছে মোদির মুখে। যা নিয়ে এবার মোদিকে পালটা দিলেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। রীতিমতো তথ্য পরিসংখ্যান দিয়েই তিনি দাবি করেছেন, মোট ৫১ মিনিট ধরে ভাষণ দিয়েছিলেন মোদি। যার মধ্যে গুনে গুনে ৪৪ বার তিনি কংগ্রেসের নামই উল্লেখ করে গিয়েছেন। তাঁর সাফ বক্তব্য, তার মানে বিজেপি তার শাসনকালে সে রাজ্যে কিছুই করে উঠতে পারেনি, যা নিয়ে কথা বলা যায়।
আরও শুনুন: মসজিদ আর চার্চেও পৌঁছতে হবে স্বয়ংসেবকদের, লখনউ থেকে সংঘকে নির্দেশ মোহন ভাগবতের
বস্তুত, শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের আগে মধ্যপ্রদেশে ১৮ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। এমনকি ২০১৮-তেও বিধানসভা ভোটে জয় পায় হাত শিবিরই, পরে বিধায়কদের দলে টেনে সরকার ফেলে দেয় বিজেপি। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অন্য কথাই বলছে। গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এবার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। ফলে গোড়া থেকেই কংগ্রেসকে হেয় করার সুর বেঁধে দিয়েছেন মোদি। কিন্তু মোদির এই কৌশলের বিরুদ্ধেই এবার ঘুরিয়ে তোপ দাগল হাত শিবির।