হেলমেট নেই। বাইকের গতিও যথেষ্টই। তবে সেসব নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই মহিলার। মনের আনন্দে ভরা রাস্তায় বাইক ছোটাচ্ছিলেন তিনি। আর পুলিশ থামাতে চাইলেই সরাসরি নাকচ। তাঁর দাবি, এই রাস্তা নাকি তাঁর বাবার। তাই খোদ প্রধানমন্ত্রী এসে না বললে তিনি গাড়ির গতি কমাবেন না। কোথায় ঘটেছে এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। ভরা রাস্তায় দুরন্ত গতিতে বাইক চালিয়ে আসছেন নায়ক। কেউ থামতে বললে, তাকেই উলটে শুনিয়ে দিচ্ছেন চোখা চোখা ডায়লগ। তবে এই গল্পে নায়ক নেই। কেন্দ্রচরিতত্রে রয়েছেন এক মহিলা। তিনিই ঘটিয়েছেন এমন ফিল্মি কাণ্ড।
আরও শুনুন: মহাত্মাকে মুছে ফেলছে বিজেপি! অভিযোগে বাইডেনকে চিঠি গান্ধীবাদী সংগঠনের
ঘটনাটি মুম্বইয়ের। এমনিতেই সে শহর যথেষ্ট উন্নত। তাই রাজপথে কোনও মহিলা বাইক চালাচ্ছেন এতে অবাক হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। তবে এই মহিলা যেন বাইক চালাচ্ছিলেন না, উড়ছিলেন। দুরন্ত গতিতে ভিড়ের মধ্যে ছুটছিল তাঁর বুলেট। এদিকে তাঁর মাথায় ছিল না হেলমেট। প্রথমে বান্দ্রা অঞ্চলে তাঁকে থামাতে চায় সেখানকার ট্রাফিক গার্ড। কিন্তু সেই নির্দশ মানেননি মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় স্থানীয় থানায়। সেখান থেকে কিছু পুলিশ আসেন মহিলাকে থামাতে। বাইক থামানোর জন্য একেবারেই রাজি ছিলেন না বছর ২৬ এর ওই মহিলা। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তিনি বাধ্য হন সেই কাজ করতে। যদিও গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করেননি। তবে স্রেফ গাড়ি থামিয়েই ভয়ানক চটে যান তিনি। পুলিশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বচসায়। মহিলার দাবি, ওই রাস্তা নাকি তাঁর বাবার। একইসঙ্গে তিনিও নিয়মিত কর দেন। তাই তাঁর বাইক থামানোর কোনও অধিকার নেই কারও। পরস্থিতি সামল দিতে পুলিশ আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে মহিলাকে রাস্তার একপাশে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এমনটা করতেও তিনি একেবারেই নারাজ। উলটে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে ডাকার কথা বলেন তিনি। মহিলার কথায়, নরেন্দ্র মোদি ফোন করে বললেই গাড়ির ঈঞ্জিন বন্ধ করবেন তিনি।
আরও শুনুন: ইসলাম ধর্মাবলম্বী সাংসদকে ধর্ম তুলে কটূক্তি, বিতর্কে জড়িয়েছেন আগেও… কে এই রমেশ বিধুরি?
এতক্ষণ শান্ত হয়ে সব সহ্য করলেও এবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে পুলিশেরও। মহিলার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা রুজু করেন অফিসাররা। মহিলাকে একটা নোটিশ ধরিয়ে দেন তাঁরা। সেই মুহূর্তে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে এই বিষয়ে তদন্ত চলবে। যে কারণে মহিলাকে পরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে থানাতেও। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসাররা।