দুবাই সফরে ফের শিল্পবৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। লগ্নিবান্ধব বাংলার ছবি তুলে ধরে দিলেন বিনিয়োগের ডাক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি অভিষেকের। কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি, নির্দেশ হাই কোর্টের। গরুপাচার মামলায় নয়া মোড়। জামিন মিলল অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। চব্বিশের প্রচারে বিজেপির হাতিয়ার মহিলা সংরক্ষণ বিল। সনাতন ধর্ম বিতর্কের জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। উদয়নিধির বিরুদ্ধে মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত। তিন মাস পিছোল পাকিস্তানের নির্বাচনের দিনক্ষণ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. স্পেনের পর দুবাইয়ে দাঁড়িয়েও শিল্পবান্ধব বাংলার ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুবাইয়ের দ্য রিটজ কার্লটনের বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লগ্নিবান্ধব বাংলার ছবি তুলে ধরলেন তিনি। বিদেশি শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানালেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বাংলায় বিনিয়গ করতে। এদিকে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে দুবাইয়ে ‘লুলু’ গ্রুপের সঙ্গেও বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুবাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন লুলু গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরাফ আলি। রিটেল ব্যবসায় দুবাইয়ের সিংহভাগ ও আবুধাবি তো বটেই, বিশ্বের নানা প্রান্তে বড় বড় শপিং মল, হোটেল তৈরি করেছে লুলু গ্রুপ। পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও ব্যাপক বিনিয়োগকারী এই সংস্থা। ভারতের মধ্যে ৫ শহর কোচি, তিরুবনন্তপুরম, ত্রিশূর, বেঙ্গালুরু ও লখনউয়ের পর এবার বাংলায় বিনিয়োগের পথে লুলু গ্রুপ। নিউটাউনে বিশ্বমানের শপিং মল খোলার আশ্বাস দিল আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাতে বিশ্ববাংলার নিজস্ব জিনিসপত্র রাখা হবে। লুলু গ্রুপকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ৩৪ বছরের খরা কাটিয়ে শিল্পবান্ধব পরিবেশের পথেই হাঁটছে বাংলা, দুবাইয়ের বাণিজ্য সম্মেলনে আন্তর্জাতিক শিল্পমহলের কাছে বাংলার এমনই ছবি তুলে ধরলেন শিল্পপতিরা। যার কৃতিত্ব একযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিচ্ছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, কে কে বাঙ্গার প্রমুখ শিল্পপতিরা।
2. নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে বড় স্বস্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইডির দায়ের করা ECIR-এর ভিত্তিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, এমনই নির্দেশ বিচারপতির। তাঁর বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ ইডি করছে, তার প্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। যদিও ECIR খারিজের আবেদনে এখনই সাড়া দিল না হাই কোর্ট। তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করেই পুরোদস্তুর আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, “বিজেপি যে এতদিন জোর করে কোনও প্রমাণ ছাড়া স্রেফ রাজনৈতিক ভাবে হেনস্তা করার জন্য অভিষেককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে, সেটা প্রমাণিত।” রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও বলেন, “হাই কোর্টের নির্দেশের পর এটা পরিষ্কার অভিষেককে হেনস্তা করার জন্য বারবার টার্গেট করা হয়েছে।” অবশ্য অভিষেককে এখনই ক্লিনচিট দিতে নারাজ বিরোধীরা। অভিষেক যদি নির্দোষই হবেন, তাহলে রক্ষাকবচ চাইছেন কেন, প্রশ্ন তুলে তৃণমূল সাংসদকে তোপ দেগেছে সিপিএমও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।