বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির। দিলেন সরকারের সাফল্যের খতিয়ান। ভাষণে নেহরু স্তুতি মোদির, প্রশংসা শাস্ত্রী-ইন্দিরা-মনমোহনেরও। বিরোধী লড়াই নয়, বিশ্বের কাছে বড় ভারতীয় পরিচয়ই। বার্সেলোনা থেকে অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা। শিল্পপতি মিত্তল ও নেওটিয়ার সঙ্গে বৈঠক, আশা নয়া লগ্নির। ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থাকলেও জারি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব। সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না সিপিএম। এশিয়া কাপ জিতেও পাকিস্তানের পিছনে ভারত। ওয়ানডে-তে শীর্ষ স্থান হারাল টিম ইন্ডিয়া।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 সেপ্টেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সিরাজকীয় মেজাজে কুপোকাত শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপ ভারতেরই
বিস্তারিত খবর:
1. সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের বিশেষ অধিবেশন। তবে তার আগে লোকসভার বাইরে দাঁড়িয়েই সংক্ষিপ্ত ভাষণে বিরোধীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিশেষ অধিবেশনের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই মনে করছেন তিনি। কারণ এই অধিবেশনেই বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সংসদের বাদল অধিবেশনের একটা বিরাট সময় ধরে নানা ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষেই প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা। এদিন বিরোধীদের সেই আচরণকে বিঁধেই মোদির কটাক্ষ, “এই অধিবেশন খুবই ছোট। তাই নিজেদের পুরো সময় অধিবেশনের কাজেই দেওয়া উচিত সাংসদদের। কান্নাকাটির সময় তাঁরা অনেক পাবেন।” পাশাপাশি জি-২০ সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে চন্দ্রযানের সাফল্য- দেশের অগ্রগতির কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। আশ্চর্যজনকভাবে, বিশেষ অধিবেশন শুরুর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা গেল নেহরুর নাম। পুরনো সংসদ সদস্যদের স্মৃতিচারণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং তাঁর মন্ত্রীসভাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মোদি। নেহরুর পাশাপাশি লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী এবং মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথাও নিজের ভাষণে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশংসায় ভরিয়ে দেন পিভি নরসিমা রাওকেও। তাঁর কথায়, অগুন্তি সংসদ সদস্যের অবদানে গড়ে উঠেছে এই দেশ, যা ভারতীয় গণতন্ত্রের গর্ব। তবে সেই নেহরুর প্রসঙ্গ টেনেই দীর্ঘ ভাষণ নিয়ে মোদিকে এদিন তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
2. দেশে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে লড়াই থাকলেও, দেশের বাইরে সকলেই ভারতীয় হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। সোমবার বার্সেলোনায় শিল্পপতি এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিগত এক সপ্তাহের শিল্প সফরের খতিয়ান দিয়ে মমতা বলেন, শিল্পমুখী আলোচনায় মাদ্রিদে দারুণভাবে সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্থানীয় শিল্পপতি কমল মিত্তলের কারখানা দেখতে যান। মূলত রেলের লাইন ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয় শিল্পপতি মিত্তলের কারখানায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করতে আগ্রহী বলেই জানা গিয়েছে। অত্যাধুনিক জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিলিগুড়িতে কারখানা তৈরির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এদিকে এদিনই বার্সেলোনা পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় যোগ দেন শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া। হাজির ছিলেন মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কর্তা ইশতিয়াক আহমেদ, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সুচরিতা বাসু। সবার উপস্থিতিতে মমতা বলেন, “দেশে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে লড়াই থাকুক। দেশের বাইরে আমরা ঐক্যবদ্ধ ইন্ডিয়ান। সেই কারণে শিল্প সম্মেলনের কোনও অনুষ্ঠানে রাজনীতির কথা বলিনি।” সব মিলিয়ে, এদিন শিল্পবান্ধব পরিবেশের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নয়া লগ্নির ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।