যৌনতা যে কারও স্বাভাবিক চাহিদা। কিন্তু তা সুরক্ষিত না হলে মহা বিপদ। তাই কন্ডোম ছাড়া যৌনতার কথা ভাবতেই চান না অনেকে। কিন্তু তাছাড়া কন্ডোমের ভূমিকা ঠিক কী? শুনতে অবাক লাগলেও কন্ডোম পরলে রোজগারও হতে পারে মোটা টাকা। ঠিক কীভাবে? আসুন শুনে নিই।
কন্ডোম ছাড়া সঙ্গম ভাবতেই পারেন না? এই অভ্যাসের জেরেই মিলতে পারে ১০ হাজার টাকা! সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করেছে বিখ্যাত এক কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থা। ফলাহ করে এমন বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: বাথরুমের গোপন অভ্যাসেই মিলবে ব্যক্তিত্বের পরিচয়, জানেন কীভাবে?
সুরক্ষিত যৌনতায় কন্ডোমের জুড়ি মেলা ভার। কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থাও নেহাতই কম নেই। যার মধ্যে কিছু সংস্থা এমন রয়েছে যাদের ব্যবসা গোটা বিশ্ব জুড়েই। চোখ বুজে সেইসব ব্রান্ড-কে ভরসা করেন অনেকেই। কিন্তু সেই বিশ্বাস ধরে রাখতে ওই সংস্থাকেও নেহাতই কম কাঠখড় পোড়াতে হয় না। নতুন কন্ডোম বাজারে আনার আগে বারবার পরীক্ষা করে দেখে নিতে হয়। বেশিরভাগ পরীক্ষাই হয় মেশিনে। অর্থাৎ কেমিক্যাল টেস্ট। দীর্ঘক্ষন সঙ্গমেও কন্ডোম যেন কোনওভাবে ছিঁড়ে না যায়, তা আগে থেকে বুঝে নিতে হয় সংস্থাকে। সব দিক ঠিক থাকলে তবে মেলে ‘ওকে’ সার্টিফিকেট। কিন্তু এই জিনিস তো আর ফেলে রাখার নয়, কিংবা কোনও যান্ত্রিক কাজে ব্যবহারের জন্যও নয়। কন্ডোমের প্রয়োজন হতে পারে ভালোবাসার উদ্দাম প্রকাশের ক্ষেত্রেই। তাই স্বচ্ছন্দের কথা মাথায় রাখা সেক্ষেত্রে বিশেষভাবে জরুরী। আর সেই সার্টিফিকেট কোনও মেশিনের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। দরকার জলজ্যান্ত পুরুষ এবং মহিলার।
আরও শুনুন: একটা ইঁদুর ধরলেই ৪১ হাজার টাকা! দেশের কোন স্টেশনে মিলছে এমন সুযোগ?
সম্প্রতি সেই পুরুষের খোঁজেই বিজ্ঞাপন দিয়েছে জনপ্রিয় কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাঁদের দাবি, কোনও পুরুষ নতুন কন্ডোম পরে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠুন। সেক্ষেত্রে ঠিক কী অসুবিধা বা সুবিধা হচ্ছে তা সঙ্গম শেষে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে। আর এমনটা করতে পারলেই মিলবে দশ হাজার টাকা। একজন নয়, এই মুহূর্তে ওই সংস্থার বেশ কয়েকজন সমর্থ পুরুষ প্রয়োজন। যারা নিয়মিত কন্ডোম ব্যবহারে অভ্যস্ত, তেমন কাউকে পাওয়া গেলে অতি উত্তম। আসলে ওই সংস্থা নতুন এক কন্ডোম আনার পরিকল্পনা করেছে। যা বিশেষ এক রাবার দিয়ে তৈরি। সংস্থার দাবি, এই কন্ডোম পরে সঙ্গমের সময় বোঝাই যাবে না যৌনাঙ্গে কোনও আস্তরণ রয়েছে। তবে সত্যি সঙ্গমের সময় সেই অনুভূতি কতটা মেলে, তা আগে থেকে বুঝে নিতে চাইছে ওই সংস্থা। তাই এই বিশেষ উদ্যোগের ভাবনা। তবে এটা ঠিক চাকরি নয়। ওই বিশেষ কন্ডোম ব্যবহার করে যে কেউ রিভিউ দিতে পারেন। অন্তত ৫০ শব্দের হতে হবে সেই বার্তা। কন্ডোম প্যাকেটের গায়ে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই রিভিউ পোস্ট করায় জায়গা চলে আসবে। তার মধ্যে ভাগ্যবান বিজেতা পাবেন ১০ হাজার টাকা। তাই বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকেই এই পুরস্কার জেতার সুযোগ রয়েছে।