হঠাৎ করেই টাকা ঢুকেছে ব্যাঙ্কে। তাও একেবারে দু লক্ষ টাকা। কিন্তু কে এই টাকা পাঠাল তা জানা নেই কারও। ব্যাঙ্কে গিয়েও মিলছে না সঠিক তথ্য। নিশ্চয়ই ভাবছেন তো? একেবারেই তা নয়। বাস্তবেই ঘটেছে এমন কাণ্ড। কোথায় জানেন? আসুন শুনে নিই।
রবিনহুড? নাকি বিক্রম রাঠোর? বোঝার উপায় নেই এমনটা কে করেছেন। কিন্তু ঘটনার নেপথ্যে এই দুই চরিত্র ছাড়া আর কারও কথা মাথায় না আসাই স্বাভাবিক। গল্প বা সিনেমায় ঠিক যেভাবে না জানিয়ে গরিবদের মধ্যে টাকা বিলিয়ে দিতেন এঁরা। এখানেও ঠিক তেমনটাই হয়েছে। কোথা থেকে টাকা এসেছে কেউ জানে না। কিন্তু গ্রামের প্রায় সবার অ্যাকাউন্টেই ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা।
আরও শুনুন: সাহায্য করেনি যাত্রীরা, চলন্ত ট্রেনে সাপ ছেড়ে চম্পট সাপুড়ের দলের
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি ওড়িষার এক গ্রামে ঘটেছে অবাক করা কাণ্ড। রাতারাতি গ্রামের প্রায় সকলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা। কারও ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ছাড়িয়েছে লাখ টাকা। ঘটনায় রীতিমতো অবাক গ্রামের সকলেই। ওড়িষার ওই গ্রামীণ ব্যাঙ্ক স্থানীয়দের মধ্যে যথেষ্টই জনপ্রিয়। রাজ্য জুড়ে ৫৪৯টি ব্রাঞ্চ রয়েছে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের। তবে এই ঘটনাটি মূলত কেন্দ্রাপাড়া অঞ্চলের একটি ব্রাঞ্চে। সেখানকার প্রায় সব অ্যাকাউন্টেই অজানা উৎস থেকে টাকা ঢুকেছে। এদিন সকালে ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় থেকে বেজায় অবাক হন কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেকেই টাকা তোলার জন্য এসেছেন বলে জানা যায়। আর তখনই সবটা বুঝতে পারেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। স্রেফ টাকা তুলতেই নয় কেউ কেউ এসেছিলেন কোথা থেকে টাকা ঢুকেছে তা জানতে। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও সেই খোঁজ পাননি ব্যাঙ্ক কর্মীরা। এদিকে কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৪০ হাজার তো কারও ব্যাঙ্কে ৫০ হাজার। এমনকি কয়েকজন কয়েক লক্ষ টাকা পেয়েছেন বলেও দাবি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। ভিড় সামলাতে এদিন কার্যত নাজেহাল হয়ে যান তাঁরা।
আরও শুনুন: শিবাজির হিন্দুরাজ্য প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার ছিল বাঘনখ, অবশেষে ভারতে ফিরছে সেই অস্ত্র
এদিকে টাকা পেয়ে বেজায় খুশি গ্রাহকরা। সম্প্রতি ‘জওয়ান’ সিনেমায় ঠিক এমনটাই দেখা গিয়েছে। ধনী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ‘লুট’ করে গরিব গ্রামবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিচ্ছেন শাহরুখ তথা পর্দার বিক্রম রাঠোর। অথচ তাঁর আসল পরিচয় প্রথমে জানতে পারছেন না কেউই। এই ঘটনাকেও সিনেমার সঙ্গেই তুলনা করেছেন কেউ কেউ। তবে অনেকেরই দাবি, ওই টাকা ফের জমা দিতে হবে গ্রাহকদের। মনে করা হচ্ছে, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে সঠিকভাবে কারণ জানা যায়নি এখনও। একই দাবি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে কীভাবে টাকা এসেছে জানা না গেলেও, শীঘ্রই সে রহস্য উদঘাটন হবে। একইসঙ্গে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বিভিন্ন ভাবে এর কারণ খোঁজা চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ ওই ভাগ্যবান গ্রাহকরা। টাকা পাওয়ার আনন্দে আপাতত মশগুল থাকতে চাইছেন তাঁদের সকলেই।