বহরমপুরের কলেজ ছাত্রী খুনে মৃত্যুদণ্ডের সাজা আদালতের। ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই, দোষী সুশান্তকে ফাঁসির সাজা আদালতের। অবশেষে স্বস্তি, দাবি মৃতার পরিবারের। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনেই আদানি ইস্যুতে ফের সরব রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন ছুড়লেন খোদ মোদির উদ্দেশে। যৌথ তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি কংগ্রেস সাংসদের। রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে সেপ্টেম্বরে স্পেন ও দুবাই সফরে মমতা। CBI তলব নিয়ে এবার মুখ খুললেন সুজিত বসু। লোকসভায় নওশাদের নজরে গোটা বাংলা। ডুরান্ডের ফাইনালে আবার ডার্বি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- একধাক্কায় কমল গ্যাসের দাম, ‘ইণ্ডিয়া’ জোটের কৃতিত্ব, দাবি মমতা-খাড়গের
বিস্তারিত খবর:
1. বহরমপুরে ছাত্রী খুনের ঘটনায় ফাসির সাজা শোনাল আদালত। বৃহস্পতিবার বহরমপুর তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি আদালতের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক আসামি সুশান্ত চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিলেন। গত ২০২২-এর ২ মে বহরমপুরে একটি মেস বাড়ির সামনে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে মেরে খুন করে তাঁর প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে। মঙ্গলবার সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারপতির কাছে ক্ষমা চায় সুশান্ত। তার আইনজীবীর দাবি ছিল, সুশান্ত মেধাবী ছাত্র। তার বৃহত্তর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্ততপক্ষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রার্থনা করেন তিনি। কিন্তু এতে কোনও লাভ হয়নি। সুশান্তকে মৃত্যুর সাজাই শোনালেন বিচারপতি। এদিকে মৃতার পরিবারের দাবি, শুধু মেয়েকে খুন করাই নয়, একাধিক অপরাধ করেছে সুশান্ত। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তা ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই সুতপার উপর মানসিকভাবে অত্যাচার করা হত। এমনকি ধরা পড়ার পর নানাভাবে মিথ্যে বয়ান দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে সে। ফলে কঠোরতম সাজা পাওয়াই উচিত বলে মনে করে সুতপার পরিবার, বন্ধুরা। তাই বৃহস্পতিবার আদালত সুশান্তকে ফাঁসির সাজা শোনানোয় খানিকটা সান্ত্বনা পেয়েছে সুতপার পরিবার। তবে এমনটাও মনে করা হচ্ছে, নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন সুশান্তর আইনজীবী।
2. আদানি ইস্যুতে ফের মোদিকে নিশানা রাহুল গান্ধীর। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনেই শিল্পগোষ্ঠীর সাম্প্রতিকতম দুর্নীতি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়লেন কংগ্রেস সাংসদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বইয়ে INDIA জোটের বৈঠকের আগে সাংবাদিক বৈঠকে দুটি বিদেশি সংবাদপত্র নিয়ে হাজির হন রাহুল। তিনি দেখান সেখানে আদানিদের নিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি অনথিভুক্ত সংস্থার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর লেনদেন বেশ সন্দেহজনক। এর মধ্যে বহু লেনদেন নিয়মবিরুদ্ধ হতে পারে। মরিশাসের একাধিক সংস্থা নাকি আদানিদের শেয়ার সন্দেহজনকভাবে বিনিয়োগ করেছে। যার ফলে প্রভাবিত হয়েছে বাজার। এবং ওই সংস্থাগুলির পিছনে রয়েছে আদানিদের পরিবারেরই সদস্যের হাত। মূলত এনিয়েই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। এত বড় দুর্নীতি সত্ত্বেও কেন আদানিকে আড়াল করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? কেন এ বিষয়ে তিনি নীরব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি সেই প্রশ্নই রেখেছেন রাহুল। আদানিদের সংস্থার কর্মকাণ্ডের ছাড়পত্র দিয়েছে সেবি। সেই সেবির কর্তা এখন আদানি সংস্থার ডিরেক্টর, এই তথ্য দিয়ে তাঁর প্রশ্ন, কেন তদন্ত করছে না সরকার? ভারত থেকে এই যে কয়েকশো কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে, সেই টাকা কার? এদিন এই প্রশ্নও তোলেন কংগ্রেস নেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।