বিয়ের আসরে হঠাৎ দেখা! কনের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের। তবে প্রেমিকপ্রবরের সঙ্গে অবশ্য বিয়েটা হচ্ছিল না। হচ্ছিল অন্য পাত্রের সঙ্গে। আর যেই না দেখা অমনি ইউ-টার্ন! ঘটলটা কী তারপর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বেশ চলছিল বিয়েবাড়ি! আচমকাই ভোলবদল। চারিদিকে হইচই পড়ে গেল। কী ব্যাপার? না কনে কিছুতেই গাঁটছড়া বাঁধবেন না। এমনকী মঙ্গলসূত্র পরতেও নারাজ। যদি ভাবা হয়, বিয়ের চলতি রীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন কনে, তাহলে মস্ত ভুল হয়ে যাবে। আসলে তিনি বিয়েটাই করতে চান না। অর্থাৎ বিয়ের ঠিক মাঝপথে এসে বিয়ে ভণ্ডুল।
ঘটনায় তো রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না। দুই বাড়িতে রীতিমতো কথাবার্তা বলেই বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাত্র-পাত্রী দুজনেই আগে অন্যকে দেখেছেন, পছন্দ করেছেন। তারপর বিয়েতে রাজি হয়েছেন। তাহলে মাঝরাস্তায় এমন উলটো-পথ ধরার কারণ কী? আগত অতিথি-অভ্যাগতরা তো তখন যাকে বলে থ। আর ঠিক সেই সময়েই ফাঁস হল কারণটি। জানা গেল, ওই বিয়ের আসরেই আছেন একটি ছেলে, যিনি কিনা কনের প্রেমিক। শুভদৃষ্টির সময় প্রেমিককে দেখতে পেয়েছেন কনে। আর তাই কিছুতেই তিনি অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে জড়িয়ে পড়তে রাজি নন।
এরপর একটু একটু করে খুলতে থাকে গল্পের পরত। জানা যায়, প্রেমিকের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্কে মত ছিল না বাড়ির। তবে যার যেথা মজে মন…! অতএব বাড়ির অমতেই বেশ কয়েকবছর চলে তাঁদের সম্পর্ক। কিন্তু এর মধ্যে বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক হয় মেয়েটির। কোনও ওজর আপত্তিই কানে তোলেননি বাড়ির কেউ। অতএব মনের দুঃখ মনে চেপে বিয়েতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে গোল বাধল যখন বিয়ের আসরে দেখতে পেলেন প্রেমিককে। তখন আর কিছুতেই মনের মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে নারাজ মেয়েটি। আর সম্পর্কের কথা সকলে যখন জেনেই গিয়েছেন তখন পরিবারের সদস্যদেরও আর পিছিয়ে আসার উপায় নেই।
তাহলে, ওই মণ্ডপেই চার হাত এক কি হল? আপাতত নয়। ঠিক হয়েছে, পরের একদিন লগ্ন দেখে প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে মেয়েটির। যুগলমিলনে তাঁরা সুখে থাকুন। মাঝখান থেকে দুই বাড়ির একগাদা টাকা গেল গচ্চা। একেই বোধহয় বলে প্রেমের মাশুল!