বাস্তুদোষের কারণে অনেক প্রাপ্তি যেন হাতে এসেও অধরা থেকে যায়। সেগুলি অতিক্রম করার বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি আছে। তবে স্বাভাবিক কিছু নিয়ম মানলে অবশ্য বাস্তুদোষ থেকে অনেকখানি রেহাই পাওয়া যায়। যেমন, বাড়িতে যদি আপনি বিশেষ কয়েকটি চিহ্ন এঁকে রাখেন তবে লাঘব হয় বাস্তুদোষ।
সুখ-সমৃদ্ধির খোঁজ কে না চান! কিন্তু বাস্তুদোষের কারণে অনেক প্রাপ্তি যেন হাতে এসেও অধরা থেকে যায়। সেগুলি অতিক্রম করার বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি আছে। তবে স্বাভাবিক কিছু নিয়ম মানলে অবশ্য বাস্তুদোষ থেকে অনেকখানি রেহাই পাওয়া যায়। যেমন, বাড়িতে যদি আপনি বিশেষ কয়েকটি চিহ্ন এঁকে রাখেন তবে লাঘব হয় বাস্তুদোষ।
কী কী সেই চিহ্ন? প্রথমেই আসা যাক শাঁখের কথায়। ঘরের যে কোনও কোণেই তা আঁকা যায়। শাঁখ-চিহ্ন বাড়ির সদস্যদের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চিহ্নটি যেন ধুলো-ময়লা পড়ে মলিন না হয়ে যায়। এবার, আসা যাক তিলক চিহ্নের কথায়। অনেকে একে বৈষ্ণব চিহ্নও বলে থাকেন। হিন্দু দেবতার কপালে এই চিহ্ন থাকে। ভগবান বিষ্ণুর ললাটেও একই চিহ্নের দেখা মেলে। অতএব, এই চিহ্ন বাড়িতে থাকা মঙ্গলদায়ক। ঘরের যে কোনও কোণেই একটি তিলক চিহ্ন এঁকে রেখে দেওয়া যেতে পারে। যেমন এ বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলে থাকেন, ঘরে ঢোকার মুখে একটি সূর্যের চিহ্ন রাখা উচিত। তাতে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়ে, পজিটিভ এনার্জির স্রোত বাড়ে। পরিবেশ ভালো হয় এবং পরিবেশের সদস্যদের মধ্যে বন্ধনও দৃঢ় হয়। আবার ঘরের এক কোণে তির-ধনুক চিহ্ন এঁকে রাখার পরামর্শ দেন কেউ কেউ। তাতে নতুন নতুন সুযোগ খুলে যায় বলেই বিশ্বাস।
সব শেষে বলা যাক ‘ওঁ’ চিহ্নের কথা। ঘরের যে কোনও জায়গাতেই রাখা যায় ভগবান শিবের এই চিহ্ন। তাতে ঘরে এসে ব্যাস করেন স্বয়ং ঈশ্বর। কেটে যায় সব রকমের বাস্তুদোষ। সামগ্রিক ভাবে এই চিহ্নগুলো বাড়িতে থাকলে বাড়ির মঙ্গলই হবে।