চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়েছে ভারত। চন্দ্রযান ৩-র সাফল্যে প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই মহাকাশযানের নকসা নাকি ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৈরি নয়। বরং তা তৈরি করেছেন সুরাটের এই ব্যক্তি। সম্প্রতি এমনই দাবি করে চর্চায় উঠে এসেছেন তিনি। ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া ইসরোর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। অভিযানের নেপথ্য নায়ক অর্থাৎ ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিয়ে চর্চায় মজেছে গোটা দেশ। কিন্তু সাফল্যের সব কৃতিত্ব ইসরোকে (ISRO) দিতে নারাজ সুরাটের এই ব্যক্তি। তাঁর দাবি, তিনি না থাকলে চন্দ্রযান-৩ তৈরিই হত না। কারণ এই মহাকাশযানের ল্যান্ডারের নকশাটি তাঁরই বানানো।
আরও শুনুন: Chandrayaan 3: চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডিং পয়েন্টের নাম ‘শিবশক্তি’ কেন? নিজেই ব্যাখ্যা দিলেন মোদি
চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের পর থেকেই সকলের নজর ছিল ঠিকমতো তা চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে কি না। গতবারের ব্যর্থতা নিয়ে ভয় ছিল বিজ্ঞানীদের মনেও। কিন্তু এবার আর তেমনটা হয়নি। সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। গোটা দেশের মানুষ সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন। ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সকলেই। কিন্তু এই আবহে সুরাটের মিতুল ত্রিবেদী এক অদ্ভত দাবি করে বসেন। নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী বলে দাবি করে ওই ব্যক্তি জানান চন্দ্রযানের ল্যান্ডারের নকশাটি তাঁরই তৈরি। এমন দাবি শুনে অবাক হন সাংবাদিকরা। ওই ব্যক্তিকে তাঁর দাবির সপক্ষে প্রমাণ দেখাতে বলেন তাঁরা। কিন্তু সেই মুহূর্তে তেমন কিছুই দেখাতে পারেননি মিতুল। তবুও পরদিন তাঁর সেই দাবি কিছু স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। যা নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের।
তখনই ওই ব্যক্তিকে থানায় তলব করেন অফিসাররা। তিনি ঠিক কিসের ভিত্তিতে এই দাবি করছেন তা জানতে চাওয়া হয়। এবারেও কোনও নথি দেখাতে পারেননি তিনি। কিন্তু নিজের বক্তব্যের সপক্ষে আরও কিছু যুক্তি সাজাতে শুরু করেন। মিতুল বলেন, চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তাই এবারেও তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে চন্দ্রযান-৩(Chandrayaan 3) এর নকশায় একাধিক বদল আনেন তিনি। মিতুলের দাবি, সেই পরামর্শ মেনেও নেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তিনি যাই বলুন না কেন, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাই পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় ইসরোর আধিকারিকদের সঙ্গে। এরপরই সামনে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, ওই ব্যক্তি কোনওভাবেই ইসরোর বিজ্ঞানী নন। এমনকি ইসরোর(ISRO) সঙ্গে তাঁর কোনও যোগও নেই। সুতরাং তাঁর দাবি যে ভুল তা সহজেই বুঝতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু ঠিক কেন এমন দাবি তিনি করলেন তা জানতে পারেননি অফিসাররা। আপাতত সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এবং তদন্তের পর যদি দেখা যায় ওই ব্যক্তি মিথ্যে বলছেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়েও কেউ যে এইভাবে মিথ্যে প্রচার করতে পারেন তা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন সকলেই।