২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনের সঙ্গে যৌনতা, সঙ্গম শেষে কী অবস্থা হয়েছিল যুবকের?

উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠলেই যে কোনও নারী চূড়ান্ত তৃপ্তি পাবেন, এমনটা বলা চলে না। এই যুবক কিন্তু সেই কৌশল জানেন। তিনি জানেন, কোনও নারীকে কেমন করে সুখের সেই চূড়ান্ত বিন্দুতে পৌঁছে দেওয়া যায়। তাও একজন দুজন নয়, একই দিনে গুনে গুনে ৫৭ জন নারীকে সেই সুখের সন্ধান দিয়েছিলেন তিনি। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমনিতে একাধিক শয্যাসঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে অভ্যস্ত অনেক পুরুষই। যৌন চাহিদা মেটাতে অনেকেই এমনটা করে থাকেন। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন মহিলার সঙ্গে সঙ্গম, অর্থাৎ এক ঘণ্টায় গড়ে দুজনের চেয়েও বেশিজনের সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়ে চমকে দিয়েছেন এই যুবক।

আরও শুনুন: অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন ৩১ বছরে, প্রসব ৯২ বছরে! বিরল ঘটনায় তাজ্জব চিকিৎসকরাও

শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সিঙ্গাপুরের এক যুবক এমনটাই ঘটিয়েছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন মহিলার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। বলা বাহুল্য তাঁদের প্রত্যেককে উত্তেজনার চরম পর্যায়ে পৌঁছেও দিয়েছিলেন অনায়াসে। এর জেরে রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি। ঘটনাটি চেক রিপাবলিক অঞ্চলের এক যৌনপল্লীর। সেখানে প্রতি বছর এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হত। এক দিনে কোনও পুরুষ কতজন মহিলার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন সেটাই ছিল প্রতিযোগিতার মূল বিষয়। সিঙ্গাপুরের এই যুবকের আগে একদিনে ৫৫ জন নারীকে তৃপ্ত করার রেকর্ড ছিল। তবে এদিন সেই রেকর্ড অচিরেই ভেঙে ফেলেন ওই যুবক। প্রতিযোগিতা শুরু হয় মাঝরাতে। ছিল বেশ কিছু নিয়ম। যতক্ষণ না বীর্যপাত হচ্ছে ততক্ষণ সঙ্গম প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। এভাবেই একজন দুজন করে ১০ জন নারীকে তৃপ্ত করে ফেলেন ওই যুবক। ততক্ষণে সকালের আলো ফুটেছে। বেলা শেষ হওয়ার মধ্যে আরও জনা কুড়ি নারীর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন তিনি। সময় কম, তাই বেশিক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ারও সুযোগ নেই। পাশাপাশি নেই কোনও ওষুধ খাওয়ার সুযোগও। যদিও সেখানে কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। কোনওরূপ অসুবিধা হলেই প্রতিযোগিতা ছেড়ে বেরি আসার সুযোগ ছিল। কিন্তু যুবক তা করেননি। সেই রাতে আরও অনেকের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন তিনি। একেবারে শেষে গিয়ে দেখা যায় নারীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৭-তে।

আরও শুনুন: হাতে নিলেই দুর্ভোগের শুরু, ইন্দ্রমন্দিরের অভিশপ্ত ‘নীলা’ বদলে দিয়েছিল অনেকের ভাগ্য

শোনা যায়, সেদিন ওই যৌনপল্লীর প্রায় সমস্ত নারীর সঙ্গেই যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন ওই যুবক। এমনকি পরের দিকে বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হয় যৌনকর্মী। প্রতিযোগিতার নিয়ম এতটুকু না ভেঙে এমন অসাধ্য সাধন করেছিলেন ওই যুবক। তবে সঙ্গম শেষে তাঁর আর ওঠার ক্ষমতা ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। তবে অবাক করা বিষয় হল, এর আগে যারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের বেশিরভাগই যৌনপেশার সঙ্গে জড়িত। কিংবা কোনও পর্নতারকা। তবে সিঙ্গাপুরের এই যুবক সেসবের কোনওটাই ছিলেন না। তবে, সাধারণ এক যুবক হয়েও তিনি যা ঘটিয়েছিলেন তা নজিরবিহীনই বলা চলে।