ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডে নিরাপত্তায় জোর যাদবপুরে। সিসিটিভি লাগানো-সহ একাধিক নয়া পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের। নতুন করে রিপোর্ট তলব ইউজিসি-র। বিজেপির সভা ঘিরে রণক্ষেত্র যাদবপুর। তৃণমূলকে বিঁধে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর। বিপন্ন মণিপুরে সুরক্ষা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি ১০ বিধায়কের। দুর্যোগ অব্যাহত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে।বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্তের চোখরাঙানি। শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার জের। নিরাপত্তায় জোর দিতে এবার একাধিক পদক্ষেপ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হস্টেল গেটে সিসিটিভি লাগানো, মাদকদ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, গাড়িতে স্টিকার লাগানো, পড়ুয়া-কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হয়েই লালবাজার থেকে ফোন পেয়ে সেখানে হাজিরা দিতে যান ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়।
এদিকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছে আগেই রিপোর্ট তলব করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর ক্যাম্পাসে আর প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়নি। কিন্তু তদন্ত যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে কর্তৃপক্ষ বিশেষত ডিন অফ স্টুডেন্টসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ১২টি প্রশ্ন তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ফের নতুন করে রিপোর্ট তলব করল ইউজিসি। ৫ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে, স্বীকার করলেন রেজিস্ট্রার। এদিকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার রাজ্যের তরফেও আলাদা করে গড়া হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
2. যাদবপুর কাণ্ডে প্রতিবাদ সভা ঘিরে ফের ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার যাদবপুর এইট-বির কাছে বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় অতি-বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে। অভিযোগ, সেখান থেকে আচমকাই এফএসআই অর্থাৎ অতি বাম ছাত্র সংগঠনের উপর হামলা চলে। কয়েকজন ছাত্রনেতাকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়। হেলমেট দিয়েও মারধর করার জেরে রক্তাক্ত হন কয়েকজন। আক্রান্তদের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও তাঁদের মারধর করে। আক্রান্ত এক পড়ুয়ার দাবি, “বিজেপির ছাত্র সংগঠনই হামলা চালিয়েছে। এভাবে যাদবপুরে বিজেপি এবং তৃণমূল অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছে।”
এদিকে ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত কাশ্মীরি পড়ুয়াকে ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি করানো হয়েছে, এই মর্মে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনায় সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের দাবিতেও সরব শুভেন্দু। যদিও তাঁর কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, এদিন নিহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নওশাদ সিদ্দিকি। র্যাগিংয়ে উসকানির জন্য কারা দায়ী, প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুবিচারের আরজি জানালেন আইএসএফ বিধায়ক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।