২২ জন সন্তান রয়েছে এই মহিলার। আর তাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গেই ঘুরতে যেতে ভালবাসেন তিনি। আর তাঁদের ঘন ঘন ভ্রমণের তালিকা শুনেই চোখ চড়কগাছ নেটিজেনদের। আসুন, শুনে নেওয়া যাক এঁদের কথা।
একেই বোধহয় বলে পায়ের তলায় সর্ষে। ঘুরতে তো ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু দু-চারদিন বাদে বাদেই ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ কতজনেরই বা হয়! সাধ থাকলেও সাধ্য মেলে না। সব দিক সামলে একবার বেড়াতে যেতেই হয়তো এক-দুটো বছর ঘুরে যায়। কিন্তু এই মহিলাকে সে দলে ফেলা যাবে না একেবারেই। ঘুরতে যেতে তো তিনি ভালোইবাসেন, কিন্তু সে বেড়ানো মোটেই ন’মাসে ছ’মাসে একবার নয়। জানা যাচ্ছে, ২০ মাসের মধ্যেই ১৮ বার বেড়াতে বেরিয়ে পড়েছেন এই মহিলা। শুনে চমকে যাচ্ছেন তো? দাঁড়ান, শুধু এইটুকুতেই শেষ নয়। আরও আশ্চর্যের কথা হল, তিনি কিন্তু একা ঘুরতে যাননি। আসলে ২২ জন সন্তানের মা এই মহিলা। আর তাদের সবাইকে নিয়ে, অর্থাৎ সপরিবারে ঘুরতে যেতেই পছন্দ করেন এই মহিলা। তবে খরচের কথা ভাবলে সে তো মুখের কথা নয়। তাই এহেন বড়সড় একটি পরিবারের এতবার ঘুরতে যাওয়ার গল্প শুনে তাজ্জব নেটিজেনরা।
আরও শুনুন: আলো নিভলেই সর্বনাশ! যেসব হোটেলে রাত কাটানোর কথা ভুলেও ভাবেন না কেউ
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম স্যু র্যাডফোর্ড। র্যাডফোর্ড পরিবার বলে পরিচিত এই পরিবারটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবার বলে মনে করা হয়। আসলে একটি বিনোদনমূলক শো চালায় এই পরিবারটি। এই ২২ জন ছেলেমেয়ের কাণ্ডকারখানাই ওই শোয়ের মূল আকর্ষণ। আর সেই শোয়ের একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছে এই ভ্রমণগুলি। যদিও আগে থেকে কেউই ফাঁস করেন না যে তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য ঠিক কোথায়। কেবল দর্শকদের ইঙ্গিত দিয়ে যান যে ফের বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা। এরপরে এই পরিবার কোথায় চলেছে, তা জানার জন্য মুখিয়ে থাকেন তাঁদের অনুরাগীরাও। গন্তব্যে পৌঁছে সেখানকার ছবি আর ভিডিও ভাগ করে নেন পরিবারের সদস্যরা। যেমন এবার মায়ামি গিয়েছে পরিবারটি, জানিয়ে দিয়েছেন পরিবারের দুই সদস্য ক্রিস এবং কেটি। মায়ামির ছবি পোস্ট করে স্যু-ও লিখেছেন, আজকের দিনটা খুব ঠান্ডা। তাঁদের এবারের ভ্রমণের গল্প শোনার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেছেন অনুরাগীরাও।