সুরক্ষিত যৌনসঙ্গমে কন্ডোমের জুড়ি মেলা ভার। দামেও কম, একইসঙ্গে সহজলভ্য। তাই নিয়মিত সঙ্গমে অনেকেই কন্ডোম ব্যবহার করেন। কিন্তু এই অভ্যাসের জেরেই হতে পারে বেশ কিছু সমস্যা। যা অনেকসময় মারাত্মক রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে। কীভাবে সাবধান থাকবেন? আসুন শুনে নিই।
অসুরক্ষিত যৌনতার জেরে হতে পারে মারণ রোগ। সমাধান বলতে, কন্ডোম ব্যবহার। যৌনরোগের হাত থেকে বাঁচতে, কন্ডোম ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিতসকেরাই। কিন্তু একদিকে যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণে সুবিধা, অন্যদিকে তেমনই বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়ে উঠতে পারে এই কন্ডোম।
আরও শুনুন: সাবধানতাতেই মোকাবিলা ডেঙ্গুর, রোজের খাবারে কোন কোন জিনিস অবশ্যই রাখবেন?
জন্মনিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখে, সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট প্রচার করা হয়। কন্ডোম ব্যবহার না করলে, কীভাবে যৌনরোগের শিকার হতে পারেন যে কেউ, সে কথা স্পষ্টভাবে বোঝানো হয় বিভিন্ন উপায়ে। অনেকেই এর প্রয়োজনীয়তা বুঝেছেন। তাই বর্তমানে কন্ডোম নিয়ে ছুঁতমার্গও অনেকটাই কমেছে। সঙ্গমে রোজ কন্ডোম ব্যবহার করার অভ্যাসও রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এর জেরেই হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।
আরও শুনুন: আশেপাশে কারও চোখে কনজাংটিভাইটিস! নিজেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্যই কন্ডোমের ব্যবহার। তাই বীর্যপাত হলেও, কোনওভাবেই তা যেন কন্ডোমের আস্তরণ ভেদ না করে তাই কাম্য। সে কথা মাথায় রেখেই কন্ডোম তৈরি হয় ল্যাটেক্স জাতীয় রাবার দিয়ে। যা আদতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অল্পসময়ের জন্য হয়তো বিশেষ ক্ষতি হবে না। তবে প্রতিদিন কন্ডোম ব্যবহার করলে হতে পারে অ্যালার্জি। ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে, যা আরও বড় রোগের কারণ হতে পারে। শ্বাসকষ্ট কিংবা রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে এর থেকেই। অন্যদিকে, কন্ডোমের ব্যবহারে কমে যেতে পারে যৌনাঙ্গের সংবেদনশীলতা। অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ কন্ডোম ব্যবহার করলে সঙ্গমের সময় যৌনসুখ পাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। এছাড়া কন্ডোমের নির্দিষ্ট একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। যা পেরিয়ে গেলে সেই কন্ডোম কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গেলে এর মধ্যে থাকা লুব্রিক্যান্ট শুকিয়ে যেতে পারে। যা যৌনতার সময় সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে সবচেয়ে সমস্যা হল, কন্ডোম ঠিকমতো পরতে পারা। যৌনাঙ্গের কোনও নির্দিষ্ট আকার হয় না। তবে কন্ডোম নির্দিষ্ট কয়েকটা মাপেরই হয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই কন্ডোম পরে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। অনেক সময় তা যৌনাঙ্গে এতটাই শক্তভাবে আটকে থাকে, যা সুখের বদলে অস্বস্তির কারন হয়ে ওঠে। আবার কন্ডোম ঠিকমতো শক্তভাবে না আটকালে, সঙ্গমকালে খুলে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে আরও বিপদ। যে কারণে কন্ডোম পরা, সেই উদ্দেশ্যই সফল হবে না। তাই সাবধানতা মেনেই কন্ডোম ব্যবহার করা উচিত। কমদামী, নিম্নমানের কন্ডোম ব্যবহার না করাই ভাল। আর প্রতিদিন কন্ডোম ব্যবহার করলেও তা যেন যৌনাঙ্গের ক্ষতি না করে সে ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার। কোনওরূপ অসুবিধা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।