উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠেছেন দুজনে। তবুও সঙ্গিনীকে চূড়ান্ত সুখের মুহূর্তে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। শরীরের ঠিক কোন অংশে স্পর্শ করলে যে সেই সুখের চাবিকাঠি মিলবে, তা খুঁজতে হন্যে হচ্ছেন পুরুষ। এবার ভিডিও করে সেই বিশেষ অংশেরই সন্ধান দিলেন যৌনতা বিশেষজ্ঞ এই তরুণী। শুনে নেওয়া যাক।
শুধু যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলেই তো হল না। পৌঁছতে হবে সেই চরম তৃপ্তির মুহূর্তটিতে। অনেকেই ভাবেন, দীর্ঘক্ষণ যৌনতায় মাতলেই তৃপ্তি পাবেন মহিলারা। তা অবশ্য ভুল কিছু নয়। কিন্তু দীর্ঘ যৌনতার পরেও চূড়ান্ত তৃপ্তি অধরা থেকে যায় অনেক মহিলার কাছেই। আসলে যৌনতা বিশেষজ্ঞরা জানান, যৌনসুখের জন্য কেবল মিলনই যথেষ্ট নয়, যৌন অঙ্গটিকে ঠিকঠাক ভাবে উদ্দীপ্ত করে তোলাই আসল কাজ। আর এই উদ্দীপ্ত করার জন্যই জানা প্রয়োজন, যৌনাঙ্গের ঠিক কোন অঞ্চলে লুকিয়ে আছে সুখের সেই চাবিকাঠি। হ্যাঁ, বলা হয়, সব মহিলারই একটি ‘জি-স্পট’ থাকে। গ্রাফেনবার্গ স্পট বা জি-স্পট হল যোনিপথের এমন কোনও অংশ, যেখানে উত্তেজনা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। ওই অংশ উত্তেজিত হলে মহিলারা চরম সুখ লাভ করেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই তরুণী বলছেন অন্য কথা। তাঁর মতে, জি স্পট নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করতে গিয়ে এ স্পটের কথা ভুলে যান অনেকেই। অথচ সঙ্গমে পরিপূর্ণ সুখ উপভোগ করার জন্য সেই অংশটিও নাকি সমান জরুরি, এমনটাই বলছেন সেক্স থেরাপিস্ট কেট বালেস্ট্রিয়েরি।
আরও শুনুন: চোখের আড়ালে অন্য নারীকে দেদার আদর, AI দিয়েই হাতেনাতে ধরলেন তরুণী
আর্নেস্ট গ্রাফেনবার্গ বলেছিলেন, জি-স্পট হচ্ছে যোনিপথের সেই ক্ষুদ্র অংশ, যা সামান্য স্পর্শে বা চাপে নারীদেহে প্রচণ্ড যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি করে। আর কেট বলছেন, আসলে এ স্পটে অভিঘাত পৌঁছনোও একইভাবে জরুরি। ঠিক কোথায় রয়েছে সেই এ স্পট, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করে তারই হদিশ দিয়েছেন কেট। তিনি জানিয়েছেন, যোনির দেওয়ালে, জি স্পটের সামান্য উপরেই এই স্পটটি থাকে। কেট আরও বলছেন, এ স্পটে আঘাত করলেই যে কারও অর্গাজম হবে এমন নয়। কিন্তু এই বিশেষ অংশটি চূড়ান্ত সুখে পৌঁছনোর পথ প্রস্তুত করে। কারণ, ওই অংশে যৌন স্পর্শ করলে তুমুল যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন সেই নারী। পাশাপাশি, যোনিপথ আরও বেশি করে সিক্ত হয়ে ওঠে, যা যৌনতাকে অনেক বেশি উপভোগ্য করে তোলে।
আরও শুনুন: নগ্নতাতে মানুষের মনোরঞ্জন ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই! পর্ন তারকার দাবিতে অবাক নেটদুনিয়া
আসলে, যোনি আর পুরুষাঙ্গের স্পর্শে যৌনতায় যে বিদ্যুৎ খেলে যায় তা অনেক পুরুষ জানেন না। অথবা বুঝে উঠতে পারেন না। তা বুঝতে পারলেই একঘেয়ে সঙ্গম হয়ে উঠতে পারে একেবারে অভিনব। সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন এই তরুণী।