ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাতেও কখনও সায় দিচ্ছেন নারীরাই। এই প্রবণতা যে গভীর উদ্বেগের, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই প্রসঙ্গই এবার সামনে তুলে আনলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়। এ প্রসঙ্গে কী বললেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যৌন হেনস্তা বা ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনাতেও সায় থাকছে মহিলাদের। কখনও কখনও বিশেষ পরিস্থিতিতে এই অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছেন তাঁরাও। আর এই পরিবেশকেই বর্তমান সময়ের ‘গভীর অসুখ’ বলে চিহ্নিত করছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়।
আরও শুনুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয় ‘ভারত’! রব তুলেছিল বিজেপি, সংসদে ফিরে কৌশলী রাহুলের মুখে শুধুই ভারত
সম্প্রতি কেরালা সাহিত্য আকাদেমি হলে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দেশের সাম্প্রতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আর সেই উদ্বেগের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল মহিলাদের প্রতি যৌন হেনস্তার ঘটনা। সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে। এই ধরনের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং সামগ্রিক পরিস্থিতির নিরিখেই এরকম ঘটনা পরপর ঘটে চলেছ বলে করছেন অরুন্ধতী। তবে, তাঁকে ভাবিয়েছে আরও গভীর একটি বিষয়। তাঁর মতে, বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যেখানে ধর্ষণের মতো ঘটনা স্বাভাবিক বলে গণ্য হচ্ছে মহিলাদের কাছেও। কখনও এমন হচ্ছে যে, তাঁরা এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থনও করছেন, এমনকী উৎসাহ দিয়ে ফেলছেন। নারীর ধর্ষণের থেকেও নারীদের কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে গোষ্ঠী বা জাতিসত্তা। আর এই পরিস্থিতিকেই গভীর উদ্বেগের বলে মনে করছেন অরুন্ধতী। দেশের অন্তরে যে অস্থিরতা, এ তারই চিহ্ন বলে মত লেখিকার। অরুন্ধতীর মতে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশবাসীকেই আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। তাঁর দাবি, যাঁরা এই প্রেক্ষিতে কিছু বলে ওঠার মতো সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন, তাঁরা যদি এখন চুপ করে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যৎকে কী জবাব দেওয়া হবে? আজ যদি দেশের জন্য দেশবাসী কিছু না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানরাই আমাদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে। দেশবাসীর কাছে তাই আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠারই মানবিক আবেদন জানিয়েছেন লেখিকা।