সংসদে ফিরেই মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ রাহুলের। ভারতমাতাকে হত্যা করেছেন মোদি, তোপ নেতার। ফ্লাইং কিস ছুড়ে জড়ালেন ‘নারীবিদ্বেষী’ বিতর্কেও। মণিপুর ইস্যুতে লজ্জাজনক রাজনীতি, নাটক করেছেন রাহুল গান্ধী। বিরোধীদের আক্রমণের পালটা জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। অশান্তির দায় চাপালেন কংগ্রেসের উপরেই। ‘ভারত ছাড়ো বিজেপি’, ঝাড়গ্রাম থেকে ডাক মমতার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিপাকে সেলিম। হাসপাতাল থেকে ছুটি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। বিশ্বকাপের সূচিতে বড় বদল। ১৫-র বদলে ১৪ অক্টোবরে বদলে গেল মহারণের দিন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 07 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সাংসদ পদ ফিরল রাহুলের, বাদল অধিবেশনে বাড়তি অক্সিজেন বিরোধীদের
বিস্তারিত খবর:
1. সাংসদ পদ ফেরার পরই বাদল অধিবেশন থেকে কেন্দ্রকে কড়া তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়েই মণিপুর নিয়ে লাগাতার আক্রমণ শানালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধে রাহুলের সাফ বক্তব্য, “আপনি দেশভক্ত নন। আপনি দেশদ্রোহী। আপনি ভারতমাতার রক্ষাকর্তা নন। আপনি ভারতমাতার হত্যাকারী।” প্রধানমন্ত্রীর মণিপুরে না যাওয়া কিংবা মণিপুর ইস্যুতে মুখ না খোলা নিয়েও এদিন তাঁকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। ‘অহংকারী রাবণে’র সঙ্গে মোদির তুলনা করে রাহুল বলেন, আদানি আর অমিত শাহ ছাড়া আর কারও কথাই শোনেন না প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, রাবণের অহংকারই লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিল, আর এখন দেশে সেই একই কাজ করছেন মোদি।
রাহুলের বক্তব্যের জেরে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ কক্ষ। রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, স্মৃতি ইরানি। উপরন্তু স্মৃতি ইরানির অভিযোগ, মহিলা সাংসদদের লক্ষ্য করে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়েছেন রাহুল। এই মর্মে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির মহিলা সাংসদেরা। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের বক্তব্য, সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাহুলের হাতে থাকা কিছু নথিপত্র মেঝেতে পড়ে যায়। তা দেখে সরকার পক্ষের অনেকে হাসতে শুরু করেন। নথি কুড়িয়ে নেওয়ার সময় ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে উড়ন্ত চুম্বন ছোড়ার ভঙ্গি করেন রাহুল। যা নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে নতুন করে আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি।
2. মণিপুর নিয়ে কেন্দ্র সরকারের জবাব চেয়ে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। বুধবার বাদল অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অবশেষে সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কার্যত কংগ্রেসের উপরেই মণিপুর অশান্তির দায় চাপালেন তিনি। রাহুল গান্ধী নিজের ভাষণে দাবি করেছিলেন, মণিপুরে গিয়ে সাধারণ মানুষের মনের কথা শুনেছেন তিনি। তার পালটা দিয়ে শাহের কটাক্ষ, মণিপুরে গিয়ে নাটক করেছেন রাহুল। মণিপুরে যা হয়েছে, তাকে সমাজের কলঙ্ক বলে মেনে নিয়েও শাহের সাফ কথা, এ নিয়ে রাজনীতি করা আরও লজ্জার। তিনি আরও বলেন, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়েছে কংগ্রেস আমলেই। সেখানে গত ৯ বছরে মোদি ৫০ বার উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন, বাকি দেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বকে জুড়ে দিয়েছেন। তারপরেও যে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা নিয়ে এদিন বিরোধীদের একহাত নিলেন শাহ। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের বিঁধে তাঁর বক্তব্য, ইউপিএ আমলে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, তাই ইউপিএ এবার নাম বদলে ইন্ডিয়া হয়েছে। তবে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এই অনাস্থা প্রস্তাব ব্যর্থ হবে বলেই সাফ দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।