পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন চলাকালীনই সুখবর রাজ্যে। উন্নয়নের জন্য ১৬০০ কোটি বরাদ্দ মিলতে পারে পঞ্চায়েত দপ্তরের। সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। মণিপুর ইস্যুতে বিক্ষোভের জেরে বিপাকে ডেরেক। বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ডের নির্দেশ, পরে সিদ্ধান্ত বদল ধনকড়ের। জমি বিতর্কে সাময়িক স্বস্তি মিলল অমর্ত্য সেনের। রাজ্যসভা নির্বাচন মিটতেই ফের ভোটের দামামা রাজ্যে। বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের। ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে কড়া তোপ প্রধানমন্ত্রীর। সাংসদ পদ ফিরতেই ওয়ানড়ে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ফিরে পাচ্ছেন হারানো বাংলোও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 07 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সাংসদ পদ ফিরল রাহুলের, বাদল অধিবেশনে বাড়তি অক্সিজেন বিরোধীদের
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন চলাকালীনই রাজ্যের জন্য সুখবর। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা পেতে চলেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে এই টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরকে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানীয় জল এবং নিকাশীর কাজে এই টাকা ব্যবহার হবে বলে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজে আরও গতি আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প-সহ একাধিক প্রকল্পে প্রাপ্য টাকা এখনও দেয়নি কেন্দ্র। এই ইস্যুতে বারবার দিল্লিতে দরবার করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যেই জানা গেল পঞ্চায়েতে টাকা পাওয়ার খবর। কত দ্রুত কাজ শেষ হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে পরবর্তী বরাদ্দ। উল্লেখ করা হয়েছে, নভেম্বরের মধ্যে প্রাপ্য টাকার ৭৫ শতাংশ খরচ করা হলে বাকি আরও টাকা পাঠানো হবে। তবে এই টাকা আসার বিষয়টি এখনও জানা নেই বলেই জানিয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
2. মণিপুর ইস্যুতে চেয়ারম্যান ধনকড়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে এবার বিপাকে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রথমে গোটা বাদল অধিবেশন থেকেই তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা বলেন চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা থেকে ডেরেককে সাসপেন্ড না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাকক্ষ। ধনকড়ের সঙ্গে মণিপুর ইস্যুতে রীতিমতো তর্কাতর্কি হয় ডেরেকের। বাদল অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা বলেন ধনকড়। এরপর তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাজ্যসভার কার্যাবলিতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। চেয়ারম্যানের অবমাননা করে রাজ্যসভার শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাব পেশের পরই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। ধনকড়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হন তাঁরা। তারপর বেলা বারোটা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। শেষ পর্যন্ত ডেরেকের সাসপেনশনের প্রস্তাব নিয়ে আর ভোটাভুটি হয়নি। অধিবেশন শুরু হতেই ফের রাজ্যসভায় দেখা মেলে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।