শখ মেটাতে মানুষ কত কিছুই না করে! কিন্তু তাই বলে কুকুর সাজা কারও শখ, এমনটা শুনেছেন? আর সেই শখ মেটাতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা খরচ করেছেন একজন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি মানুষ থেকে কুকুর হয়ে, দিব্যি প্রেমিকার সঙ্গে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই ব্যক্তি। কে ঘটিয়েছেন এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
ছোটবেলায় অনেকের অনেক রকম ইচ্ছা থাকে। কারও স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া, কারও আবার পাইলট। এমনকি সুপারহিরো হওয়ার স্বপ্নও অনেক খুদেই দেখে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে এই ব্যক্তির চিন্তাভাবনা ছিল এক্কেবারে অন্যরকম। তাঁর বরাবরের শখ চারপেয়ে জন্তু হওয়া!
আরও শুনুন: মোবাইলে চার্জ নেই! লেবু দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান, কীভাবে?
দু-পায়ে হাঁটতে একেবারে না পসন্দ। পছন্দের প্রাণী কুকুর, ঠিক তার মতোই হওয়ার শখ ছিল এই ব্যক্তির। সম্প্রতি, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সেই শখ মিটিয়েও ফেলেছেন তিনি। মানুষ থেকে পুরোদস্তুর কুকুরে পরিণত হয়েছেন। তাঁর এই নতুন রূপ দেখে বেজায় অবাক পরিবারের সকলেই। কিন্তু তাঁর প্রেমিকার এ নিয়ে হেলদল নেই। প্রেমিকের কুকুর রূপ নিয়ে তিনি একেবারেই আপত্তি তোলেননি। বরং দুজনে মিলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাস্তায়। আর সেই ঘটনার ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, মানুষ থেকে কীভাবে কুকুরে পরিণত হলেন ওই ব্যক্তি?
আরও শুনুন: নাচের ছন্দে খসে পড়ত পোশাক, গুপ্তচর মাতা হারির শরীরী আগুনে পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দিত শত্রুরা
অদ্ভুত কাজটি করেছে জাপানের এক পোশাক নির্মান সংস্থা। কুকুর হওয়ার জন্য এই ব্যক্তি নিজের শরীরে কোনও বিশেষ অস্ত্রোপচার বা কাটাছেড়া করেননি। স্রেফ একটা পোশাক পরেছেন। একথা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে, ওই ব্যক্তি বহুরূপীর মত সেজেছেন মাত্র। কিন্তু আসলে ঠিক তা নয়। এত টাকা খরচও তাঁর এমনি এমনি হয়নি। তিনি পরেছেন এমন এক অভিনব পোশাক, যা দেখতে হবহু কুকুরের চামড়ার মতো। একবার গায়ে চাপালে বোঝার উপায় নেই, আসল না নকল। জেপেট নামে এক সংস্থা তাঁকে এই পোশাক বানিয়ে দেয়। এর আগেও এক ব্যক্তির জন্য কুকুরের পোশাক বানিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। তাতে খরচ পড়েছিল ১২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। তবে এই ব্যক্তির দাবি ছিল তার থেকে খানিক বেশি। সে কারণে নতুন পোশাকটি বানাতে খরচও হয়েছে বেশি। তাঁর কড়া নির্দেশ ছিল, পোশাকটি দেখতে এমন হবে যেন একটি কুকুর পিছনের দুই পায়ে ভর দিয়ে হাঁটছে। ঠিক সেইভাবে পোশাকটি বানানো সহজ ছিল না মোটেই। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ওই আবরণের ভেতরে যাতে নিঃশ্বাস নিতে কোনোরকম সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর ছিল তাদের। এদিকে পোশাক যাতে শরীরের ঠিকমতো মাপসই হয়, তা দেখার জন্য বেশ কয়েকবার সংস্থার স্টুডিয়োতে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে ৪০ দিন পরে পুরোপুরি তৈরি হয় তাঁর ওই পোশাক। যা পরলে কোনোভাবেই মানুষ বলে চেনার উপায় নেই। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিজেকে ওই পোশাক পরে আয়নাতে দেখার পর রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার দরুন আনন্দে আটখানা ওই ব্যক্তি।