জঙ্গি গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা INDIA জোটের। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক। মোদিকে তীব্র কটাক্ষ মমতার, কড়া আক্রমণ রাহুল-সহ বিরোধীদের। স্কুলের থেকে নিয়োগের ক্ষমতাও ‘কেড়ে’ নিয়েছিলেন পার্থ-কল্যাণময়রা, বিস্ফোরক সিবিআই। আদালতের নির্দেশ না মানার জের। শিক্ষাদপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। সংঘাতের আবহেই ফের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল। বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গুর থাবা রাজ্যে। মণিপুরে তিনমাস পর শর্তসাপেক্ষে ফিরল ইন্টারনেট পরিষেবা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. সম্মিলিত বিরোধী জোট INDIA-কে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তুলনা প্রধানমন্ত্রীর। ঘটনায় জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী শিবিরের নেতারা। প্রতিক্রিয়া এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও। তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় ইন্ডিয়া নামটা ওঁর পছন্দ হয়েছে। মানুষও এই নাম গ্রহণ করেছে।”
মঙ্গলবার দলের সংসদীয় বৈঠকে বিরোধীদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোদি বলেন, “INDIA নাম থাকলেই দেশভক্ত হওয়া যায় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতেও ছিল ইন্ডিয়া। জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামের মধ্যেও রয়েছে ইন্ডিয়া। এদের কাজ সব কাজের বিরোধিতা করা। আমাদের বিরোধীদেরও একই অবস্থা।” ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য একেবারেই ভালভাবে নেয়নি বিরোধী শিবির। এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, “মোদিজী আমাদের যা খুশি বলুন, আমরা ইন্ডিয়া। মণিপুরকে আমরা সারিয়ে তুলব, মা-বোনদের চোখের জল মুছিয়ে দেব। ইন্ডিয়ার আদর্শ গড়ে তুলব মণিপুরে।” টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। তবে বিরোধী জোটকে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তুলনা করেছেন, সে কথাকে কার্যত উড়িয়েই দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তৃণমূলের তরফে বিবৃতি জারি করে এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। মণিপুর ইস্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রীকে কড়া বার্তা শুনিয়েছে বাংলার শাসক দল।
2. নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন মোড়। স্কুলের থেকে নিয়োগের ক্ষমতা ‘কেড়ে’ নিজেদের হাতে নিয়েছিলেন পার্থ-কল্যাণময়রা। বিস্ফোরক দাবি সিবিয়াই-এর। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৬ সালে এসএসসির পক্ষ থেকে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, স্কুলের পক্ষ থেকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কোন কোন জোনে কতগুলি পদ খালি রয়েছে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইমতো পরের বছর, ২০১৭ সালেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু ফলাফল বেরানোর আগেই ২০১৮ সালে ফের এসএসসি বিজ্ঞাপন দেয়। তাতে জানানো হয়, স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্ব থাকছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে। পর্ষদের পক্ষ থেকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। একই সময় পর্ষদের বিশেষ কমিটিও তৈরি করা হয়, যার মাথার উপর ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। এই ব্যাপারে আরও তথ্য পেতে, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। সেখানে মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই সময় হঠাৎ কেন বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুন কমিটি তৈরি করা হল? এছাড়া এনিয়ে কোনও বৈঠক হয়েছিল কি না, কিংবা কোন প্রক্রিয়ায় এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া থাকলে তাতে কার সই ছিল, এইসব তথ্যও জানতে চেয়ছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও অন্য এসএসসি কর্তারা শুধু নিয়োগের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার জন্য এই নিয়ম পালটান। ভুয়ো নিয়োগপত্র জারি করে মোটা টাকার বিনিময়ে ইচ্ছামতো প্রার্থী নিয়োগ করা হয় বলে স্পষ্ট দাবি সিবিআইয়ের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।