রোজ রোজ অশান্তি লেগেই আছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনের কেউই কাজে মন দিতে পারছেন না। সমস্যার প্রভাব পড়ছে যৌনজীবনেও। বিবাহবিচ্ছেদের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ। অথচ কেন এমনটা হচ্ছে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। সমস্যার বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার বাড়িতেই। ত্রুটিপূর্ণ বাস্তু দাম্পত্য জীবনে ডেকে আনতে পারে একাধিক সমস্যা। কী করলে মিটবে সেই সমস্যা? আসুন শুনে নিই।
সারাদিন কাজের চাপে দম ফেলার সময় থাকে না। তাই দিনের শেষে একান্তে সময় কাটিয়ে সেই ক্লান্তি দূর করতে চান অধিকাংশ দম্পতিই। কিন্তু সেখানেও সমস্যার অন্ত নেই। সামান্য কারণে ঝামেলা। যার প্রভাবে ঘুমানোর আগেও দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। একদিন,দুদিন নয়। প্রায় রোজই এমন সমস্যায় ভুগছেন কেউ কেউ।
আরও শুনুন: লঙ্কা খেতে বেজায় ভালোবাসেন! যৌনজীবনে সেই ‘ঝাল’ বজায় থাকবে তো?
অশান্তির প্রভাব পড়ছে যৌনজীবনেও। কিন্তু ঠিক কী কারণে রোজ রোজ এমন অশান্তি, তা ভেবে কুল পাচ্ছেন তাঁরা। জ্যোতিষমতে এর নেপথ্যে বাস্তুজনিত সমস্যা থাকতে পারে। কোন জায়গায় বাড়ি তৈরি হয়েছে, কিংবা শোওয়ার ঘর, ঠাকুর ঘরের স্থান আদৌ সঠিক কি না, সেইসব কিছুই ডেকে আনতে পারে রোজকার অশান্তি। শুধু তাই নয়। নিত্য প্রয়োজনের জিনিসপত্রও নিয়ম না মেনে রাখলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। যেমন আয়না, খাট কিংবা আলমারি রাখার ক্ষেত্রেও বাস্তুমতে নির্দিষ্ট রয়েছে কিছু নিয়ম। সেসব না মানলেই সংসারে রোজকার অশান্তি লেগে থাকতে পারে, এমনটাই দাবি করেন জ্যোতিষ ও বাস্তুবিদরা।
তাহলে প্রতিকারের উপায় কী?
আরও শুনুন: সঙ্গিনীর তৃপ্তি কিংবা যৌনাঙ্গ দৃঢ় রাখার উপায়, যৌনতা নিয়ে আর কী সার্চ হয় গুগলে?
এ প্রসঙ্গে প্রথমেই বলতে হয় দিকের কথা। বাস্তুমতে ঘরের ঈশানকোনে ঠাকুরঘর প্রতিষ্ঠা করা উচিত। উত্তর-পূর্ব দিক সবসময় ঈশ্বরের বাস হিসেবে মনা করা হয়। তা সেখানে ঠাকুরঘর না থাকলে সংসারে প্রবল অশান্তির আশঙ্কা থাকে। এই স্থানে যদি অন্যকিছু, যেমন স্নানঘর কিংবা আবর্জনা ফেলার জায়গা থাকে তাহলে অবশ্যই তা বদলে ফেলুন। অন্যথায় স্রেফ ব্যক্তিগত জীবন নয়, সামাজিক জীবনেও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এবার আসা যাক শোওয়ার ঘরের প্রসঙ্গে। যে ঘরে স্বামী-স্ত্রী রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হন, সেই ঘর সাজানোর ক্ষেত্রেও অবশ্যই কিছু নিয়ম মানা উচিত। অন্তত বাস্তু তেমনটাই নির্দেশ করে। এই ঘরে কখনই আয়না রখা উচিত নয়। রাখলেও সেখানে যেন সঙ্গমের দৃশ্য প্রতিফলিত না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ রাখতে হবে। নিতান্তই উপায় না থাকলে, কাপড় দিয়ে আয়না ঢেকে রাখুন। অন্যথায় অশান্তি হতে বাধ্য। এছাড়া শোওয়ার ঘরের ছাদের দিকটিও লক্ষ রাখা উচিত। অনেক বাড়িতে, ঘরের ছাদে বিম থাকে। বিছানার ঠিক উপরেই যদি এমন বিম থাকে তাহলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রেও সবথেকে বাশি আশঙ্কা থাকে সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের। অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে তাঁদের সম্পর্ক নষ্ট হতে বাধ্য। এছাড়া এই দুই নিয়ম না মানলে, বিছানায় সঙ্গিনীকে তৃপ্ত করতে অসুবিধা হতে পারে। বাস্তুমতে সঙ্গমের দৃশ্য আয়নায় ধরা পড়লে, কখনই তা তৃপ্তদায়ক হয় না। এছাড়া স্নানঘরের দরজাটিও সবসময় বন্ধ রাখা উচিত। মনে করা হয়, এমনটা না করলে মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়তে পারে সংসারে। তা রোজকার অশান্তির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন জ্যোতিষ ও বাস্তুবিদরা।