অনেকেই বলেন, টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না। একথা সত্যি। কিন্তু টাকা ফেললেই ভালবাসা পাওয়া সম্ভব। তাও আবার চেনেন না, জানেন না, এমন কারও থেকে। ভাবছেন তো, এমনটা কীভাবে সম্ভব? তার জন্য পাড়ি দিতে হবে সে দেশে। সেখানে ঘন্টা হিসেবে ভাড়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা মেলে। যার সরকারি স্বীকৃতিও রয়েছে। টাকা দিলেই অপরিচিত মানুষ আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাবেন। কোথায় মিলবে এই সুযোগ? আসুন শুনে নিই।
‘একা বাঁচতে শেখো প্রিয়’… গানের কথায় এসব যতই ভাল লাগুক, বাস্তবে একা থাকা মোটেও সোজা ব্যাপার নয়। যে যাই বলুক, চলার পথে অন্তত একজন ভালবাসার মানুষ পাশে থাকলে মন্দ হয় না। কিন্তু চেষ্টা করেও যাদের কপালে সে সুখ জুটছে না, তাঁরা তো আর বাজার থেকে প্রেমিক-প্রেমিকা কিনে আনতে পারেন না! যদি না তাঁরা এই বিশেষ দেশটির বাসিন্দা হন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এমনও এক দেশ রয়েছে, যেখানে ভালবাসার মানুষও ভাড়ায় পাওয়া যায়।
আরও শুনুন: প্রাণ বাঁচাল কাঁচা মাছ, মাঝসমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার দু’মাস পর বেঁচে ফিরলেন ব্যক্তি
দীর্ঘদিন একাকী দিন কাটাচ্ছেন? চেষ্টা করেও মিলছে না ভালবাসার মানুষ? তাহলে আপনি পাড়ি জমাতে পারেন জাপানে। কারণ সেখানে টাকার বিনিময়ে প্রেমিক-প্রেমিকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাও কোনও অবৈধ উপায়ে নয়। এই ব্যবস্থায় সরকারের স্বীকৃতিও রয়েছে। মূলত, জাপানের অবিবাহিতদের কথা ভেবেই এমন প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে অনেকেই এর মাধ্যমে নিজেদের যাবতীয় চাহিদা মেটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। গোটা ব্যাপারটাই হয় অনলাইনে। নির্দিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে বেছে নিতে হয় প্রেমিক বা প্রেমিকা। অন্তত দু-ঘণ্টার জন্য ভাড়া করতে হবে তাঁকে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০০০ টাকা দিতে হবে নির্দিষ্ট সংস্থাকে। এরপর সংস্থার তরফে সেই প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। নিজেদের মতো করে তাঁরা সেই সময়টুকু কাটাতে পারেন। চাইলে আরও সময় বাড়ানো যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে দিতে হয় অতিরিক্ত চার্জ। শুধু তাই নয়, প্রেমিক প্রেমিকা বাছাইয়ের কাজটিও বিনামূল্যে হয় না। এর জন্য ১২০০ টাকা দিতে হয় সংস্থাকে। তবে এরপর আর কোনও টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই। এমনকি কেউ চাইলে সেই প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য মূল্যবান কোনও উপহারও নিয়ে যেতে পারবেন না। যা দিতে হবে তার সবই ওই সংস্থার মারফত।
আরও শুনুন: কবে আর কতটা বৃষ্টি হবে, আগেই নির্ভুল ভাবে জানিয়ে দেয় এই মন্দির
যদিও তাতে কোনও অসুবিধা নেই সে দেশের অবিবাহিত যুবক-যুবতীদের। বিভিন্ন কারণে তাঁরা পাকাপাকিভাবে কোনও একজনের সঙ্গে থাকতে পারেন না। কখনও কাজের চাপ, আবার কখনও অন্য কোনও সমস্যা। এদিকে সবসময় একা থাকতেও ভাল লাগে না। তাই সময় সুযোগ হলেই তাঁরা ভালবাসার মানুষ ভাড়া করে নেন। অনেকে আবার এই কাজের সঙ্গেও যুক্ত। অর্থাৎ তাঁরা ওই নির্দিষ্ট সংস্থায় কাজ করেন। টাকার বিনিময়ে তারাই অচেনা অজানা মানুষের সঙ্গে প্রেম করতে ছুটে যান। তাদের জন্যও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কখনও যে ব্যক্তি তাদের ভাড়া করছেন, তাঁকে নিজের ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার দেওয়ার নিয়ম নেই। যোগাযোগ করতে হলে সংস্থার মারফতই করতে হবে। এমনই খুঁটিনাটি নিয়ম মাথায় রেখে এই ভাড়ায় পাওয়া ভালবাসা কারবার রমরমিয়ে চলছে জাপানে।