আগামী বছরেই ভক্তদের জন্য দরজা খুলছে রামমন্দিরের। এমনটা ঘোষণা হয়েছে আগেই। তাই শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গোটা অযোধ্যা নগরী। দিনরাত এক করে কাজ করছেন কর্মীরা। প্রভুর রামের নামে মন্দিরের কাজে নিযুক্ত হয়েছেন ১৬০০ কর্মী। এখনও মন্দির নির্মাণের কোন কাজ বাকি? আসুন শুনে নিই।
জোর কদমে চলছে রাম মন্দির নির্মানের কাজ। নিজে গিয়েই সেই কাজ পরিদর্শন করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ। সম্প্রতি জানা গেল প্রকাশ্যে এসেছে মন্দিরের প্রায় শেষ হওয়া অংশের তালিকা। জানা গিয়েছে, গর্ভগৃহের কাজ ইতিমধ্যেই শেষের মুখে। চলতি বছরের শেষেই সেখানে রামমূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা। তাই সবার আগে মূল বেদীটি নির্মাণের কাজ শেষ করা হচ্ছে।
আরও শুনুন: কবে ভক্তদের জন্য খুলবে রাম মন্দির? ভূমিপূজার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জানাল ট্রাস্ট
দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। এই মন্দিরকে সামনে রেখেই একাধিক রাজনৈতিক প্রকল্পের পালে হাওয়া দিয়েছিল দেশের গেরুয়া শিবির। তাই মন্দির উদ্বোধনের জন্য মুখিয়ে আছেন সাধারণ মানুষ। কাজও এগোচ্ছে জোর কদমে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, এই মূহুর্তে রামমন্দিরের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ১৬০০ কর্মী। তাঁরা সকলেই রামের নামে কাজ পেয়ে বেজায় খুশি। সবার প্রথমে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের গর্ভগৃহ। এখানেই রাখা হবে রামের মূর্তি। আগামী বছরের শুরুতেই সেই মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। জানা গিয়েছে, সেদিন বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হবে মন্দির প্রাঙ্গণে। এর আগে রাম মন্দিরের ভূমি পুজো উপলক্ষেও জাঁকজমক পূর্ণ এক উৎসবের সাক্ষী ছিল দেশবাসী। তবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার ব্যাপকতা তার থেকেও বাশি হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। গর্ভগৃহের পর তৈরি হবে মন্দিরের প্রথম তল। গর্ভগৃহ খুলে গেলেও প্রথম তল সম্পূর্ণ নির্মান হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রথম তলে ওঠারও সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। আর সব শেষে তৈরি হবে মন্দিরের বাইরের অংশ। সেখানেও বিশেষ কিছু কারুকাজ করা হবে। সবমিলিয়ে যা অনন্য করে তুলবে রামলালাল এই মন্দিরটিকে।
আরও শুনুন: রাম সেতুর অস্তিত্ব কি সত্যি আছে? তথ্য আর যুক্তি কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে?
তবে আপাতত গর্ভগৃহের কাজ যত দ্রুত শেষ করা যায় সেদিকেই নজর মন্দির কর্তৃপক্ষের। ১৬০০জন কর্মী প্রায় সারাদিনই তাঁরা পালা করে কাজ করছেন বলে খবর। তবে সূর্যাস্তের পর বা বৃষ্টি হলে বাইরের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভিতরের কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোনও বাধা নেই। তাই বেশিরভাগ সময়ই সেখানে জোর কদমে কাজ চালাচ্ছেন কর্মীরা। রয়েছেন বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ারও। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই গর্ভগৃহে কাজ চলছে। স্রেফ দেওয়াল বা মেঝে প্রস্তুতির কাজ নয়। ইলেকট্রিকের কাজও চলছে। সম্পূর্ণভাবে গর্ভগৃহ তৈরি হলেই ব্যবস্থা হবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবের। তবে গোটা রামমন্দির সম্পূর্ন প্রস্তুত হতে এখনও ঢের দেরি। কর্তৃপক্ষের দাবি, এভাবেই একটি দুটি করে অংশের কাজ শেষ করে মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আপাতত ঠিক কবে, প্রভু রামের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন অনেকেই।