সাপ দেখলে আঁতকে ওঠেন? জ্যান্ত সাপ দূরের কথা, সাপের ছবি দেখলেও অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। কিন্তু এক মহিলা পাঁচ পাঁচটা জ্যান্ত সাপ নিয়েই সম্প্রতি বেরিয়ে পরেছিলেন রাস্তায়। তাও আবার কোনও মুখবন্ধ পাত্রে ভরে নয়। নিজের জামার মধ্যে লুকিয়ে জ্যান্ত সাপগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কী হল তারপর? আসুন শুনে নিই।
টেনিদার ‘চারমূর্তি’ গল্পে যোগসর্পের কথা মনে আছে? লাল কাপড়ে মোড়া হাঁড়ির ভিতর সাপের ভয় দেখিয়ে টেনিদাকে বেজায় ভড়কে দিয়েছিলেন এক সাধুবাবা। কিন্তু সে হাঁড়িতে যে আদৌ সাপ ছিল না তা প্রমান করেন টেনিদা নিজেই। তবে এক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। বরং জামার ভিতর সত্যিকারের সাপ নিয়ে যাওয়ার সময়ই ধরা পড়েছেন এক মহিলা।
বলিহারি সাহস! যেখানে সাপের নাম শুনলেই কেউ কেউ অস্বস্তিতে পড়েন, সেখানে নিজের জামার ভিতর আস্ত সাপ! মহিলার কাণ্ড দেখে রীতিমতো অবাক পুলিশও। ঘটনাটি চীনের। সেখানকার এক বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় ধরা পড়েছেন এই মহিলা। সাধারণত বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের ভালোমতো নিরীক্ষণ করা হয়। বিভিন যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা চলে। যেসব জিনিস নিয়ে প্লেনে ওঠা বারণ, তা সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু পাচারকারীরা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে সেইসব নিষিদ্ধ জিনিস নিয়েই প্লেনে ওঠার চেষ্টা করেন। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার নানা উপায় তাঁদের জানা। এই মহিলাই তেমনই কিছু অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ওই জ্যান্ত সাপগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিমানবন্দরে কিছু প্রাথমিক পরীক্ষায় পাসও করে যান তিনি। কিন্তু তাঁর শরীরের অদ্ভুত গঠন দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজন পুলিশ কর্মীর। মহিলা জামার ভিতর কিছু লুকিয়ে রেখেছেন এই সন্দেহেই, তাঁকে ফের নিরীক্ষণের জন্য ডাকা হয়। এরপর পোশাক খুলে ভিতরে কী আছে দেখাতে বলেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। তখন মহিলার জামার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে কয়েকটা ছোট থলির মতো জিনিস। যার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে পাঁচ পাঁচটা জ্যান্ত সাপ। প্রথমে এমন দৃশ্য দেখে সকলেই ঘাবড়ে যান। বিমানবন্দরে থাকা অন্যান্য যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্দিষ্ট বিভাগের লোক এসে সাপগুলিকে একটি বাক্সে ভরে দেয়। ফলে পরিস্থিতি ফের শান্ত হয়।
জানা যায়, ওই মহিলা সাপগুলো পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তিনি হাতেনাতে ধরা পড়েন। তবে এভাবে জ্যান্ত সাপও যে কেউ জামার ভিতর নিয়ে যেতে পারে, তা দেখে অবাক হয়েছেন পুলিশ মহলের সকলেই। একই প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের। কোনওভাবে যদি ওই সাপ বিমানের মধ্যে বেরিয়ে আসত, তাহলে যাত্রীরা বেজায় সমস্যায় পড়তেন। এই নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। তবে ওই মহিলার কাছে যে ধরনের সাপ ছিল তা খুব একটা বিরল প্রজাতির নয় বলেই জানা গিয়েছে। তাই ঠিক কেন ওই সাপ পাচার করার চেষ্টা করছিলেন তিনি, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।