এখনই বাতিল নয় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তিন রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। সব বুথে নয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণে মৃত ২। এলাকায় গেলেন রাজ্যপাল, সিবিআই তদন্তের দাবি নিহতের পরিবারের। ভোটের দিন নিয়ন্ত্রিত হবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কাণ্ডে নয়া মোড়। ৩ রেল আধিকারিককে গ্রেপ্তার সিবিআই-এর। ‘মোদি পদবি’ মামলায় বড় ধাক্কা রাহুল গান্ধীর।কুস্তিগিরদের শ্লীলতাহানি মামলায় বিপাকে ব্রিজভূষণ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ, নওশাদের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর
বিস্তারিত খবর:
1. শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল নয় এখনই। এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া তিন রায়েই আপাতত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে ডিভিশন বেঞ্চে যেমন মামলা চলছে তা চলবে।
চলতি বছরের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেট থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্তদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁদের চাকরি বাতিল হবে। নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, যেসব শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তাঁদেরও ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে আগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আর শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিল, বেতন ফেরত ও শূন্যপদে পুনরায় নিয়োগের মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টও।
2. অবশেষে কাটছে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জট। স্পর্শকাতর বুথে জোর দিয়ে মোতায়েন করা হোক বাহিনী, নির্বাচন কমিশনকে নয়া প্রস্তাব পাঠালেন বিএসএফের আইজি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর। প্রস্তাব মেনে নিয়েছে কমিশনও।
হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশকে সমান সমান অনুপাতে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আইজি বিএসএফের প্রস্তাব, কোনও বুথে হাফ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারে না। কোঅর্ডিনেটরদের যুক্তি ছিল, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা, তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এরপরই নয়া প্রস্তাব দেন আইজি। বিএসএফ আইজির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী, অর্থাৎ ৪-৫ জন জওয়ান থাকতে হবে। তিনটি এবং চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী অর্থাৎ ১০-১২ জন। পাঁচ এবং ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী অর্থাৎ ১৫-১৭ জন, এবং সাতটি বা তার থেকে বেশি বুথ থাকলে কমপক্ষে দু’সেকশন অর্থাৎ জনা কুড়ি জওয়ান মোতায়েন করা হবে। স্ট্রং রুম, অর্থাৎ যেখানে ব্যালটবাক্স বা ইভিএম রাখা হয়, সেখানে নিরাপত্তায় এক কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এর সঙ্গে সব বুথে পর্যাপ্ত পরিমাণ রাজ্য পুলিশও মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে না। মূলত স্পর্শকাতর ও উত্তেজনাপ্রবণ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যেই কমিশনের দাবিমতো বাহিনী আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন নোডাল অফিসার তথা বিএসএফের আইজি। তাঁর আরজি মেনেই লেহ্-লাদাখ ও অন্যান্য সীমান্ত এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এল বাংলায়। শুক্রবার সন্ধের মধ্যেই যাতে তাঁরা বুথে পৌঁছে যান, তার জন্য লে থেকে আকাশপথে সরাসরি পানাগড়ের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে উড়িয়ে আনা হয়েছে জওয়ানদের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।