কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকেই। জটিলতা কাটাতে আসরে হাই কোর্ট। দিনহাটার পর শীতলকুচিতে চলল গুলি, লাগানো হল আগুনও। তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে অশান্ত এলাকা। ফের সরকার ফেলার হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর। পালটা দিলেন কুণাল ঘোষ। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। রাজ্যপালের করা নিয়োগ বৈধ। অবিলম্বে চালু করতে হবে ১০ উপাচার্যের বেতন, রায় বিচারপতির। ফের প্রকাশ্যে গুলি চলল যোগীরাজ্যে। আহত ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নিশানায় বিএসএফ, ‘গুলি করলে গ্রেপ্তার করুন’, পুলিশকে নির্দেশ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জট কাটছে না এখনও। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে এ মুহূর্তে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে পাঠানো সম্ভব নয়। কাজ চালাতে হবে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়েই। এই নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কমিশন। এদিকে কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্যে যে বাহিনী পাঠানো হবে, তাদের থাকা খাওয়ার বিষয়ে কোনও স্পষ্ট পরিকল্পনা জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনকি, কোন বুথে কত বাহিনী রাখা হবে, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। এই ইস্যুতে এবার হাই কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা-খাওয়ার ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকেই, সাফ জানাল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মামলায় হলফনামা দিতে হাই কোর্টের হাজির হয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, হলফনামায় বহু প্রশ্নের উত্তর কমিশন এড়িয়ে গিয়েছে। বুথে সিসিটিভি বুথে বসানো নিয়ে হলফনামায় যা লেখা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। বাহিনী মোতায়েন করা ও তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনার কথাও স্পষ্টভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কোনওভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, সিভিকদের ব্যবহার করা যাবে না বলেও কমিশনকে ফের সতর্ক করেছে আদালত। বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকেও পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
2. পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। দিনহাটার পর এবার ঘটনাস্থল শীতলকুচি। ডাকঘড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এলাকায় গুলি চলে বলেও অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এক তৃণমূলকর্মীর মোটরবাইকে। ঘটনায় বিজেপির দিকেই নিশানা তৃণমূলের। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
নির্বাচনী হিংসার জেরে বারেবারেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে কোচবিহার জেলায়। মঙ্গলবারই তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে গুলি চলেছে দিনহাটার গীতালদহে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূলকর্মীর। এই পরিস্থিতিতে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের দাবি, বিজেপি বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী এনে অশান্তি চালাচ্ছে এলাকায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল শীতলকুচিতে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে আসে দমকলও। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি করেছে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।