সপ্তাহে পাঁচ দিন ছুটি। তাও আবার সরকারি নির্দেশে। দেশের মানুষ তো বেজায় খুশি। কিন্তু এমন নিয়মের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। ছুটির জেরেই চাঙ্গা হতে পারে দেশের অর্থনিতি। এমনটা মনে করছেন সে দেশের বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু কোন দেশ চালু করল এমন নিয়ম? আসুন শুনে নিই।
অর্থনীতি মজবুত করা যে কোনও দেশেরই প্রধান লক্ষ্য। দেশের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থে এই ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই অর্থনীতির হাল যথেষ্ট নড়বড়ে বলেই দাবি তোলেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই বিভিন্ন ভাবে অর্থনীতির হাল ফেরানোর চেষ্টা চালাতে থাকে এইসব দেশের সরকার।
আরও শুনুন: প্রসবের পর মোটা হয়ে গেছেন স্ত্রী, অজুহাতে সঙ্গমে নারাজ স্বামী
তবে শুধুমাত্র কোনও নির্দিষ্ট দিক নিয়ে ভাবলেই চলে না। ভাবতে হয় সামগ্রিক ভাবেই। তাই ইন্দোনেশিয়া সরকার দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে অদ্ভুত এক উপায় বেছেছেন। ঠিক করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে পাঁচ দিন ছুটি দেওয়া হবে দেশের সমস্ত সরকারি কর্মীদের। সপ্তাহান্তে পাঁচদিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন তাঁরা। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য। ছুটি পেলে অনেকেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাবেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে। লাভবান হবেন সেখানকার ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও। ফলে সামগ্রিক ভাবে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, ছুটির ফলে কর্মীদেরও কাজের উৎসাহ বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশীয় সরকার।
আরও শুনুন: ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মোক্ষম প্রশ্ন মোদিকে, কে এই সাবরিনা সিদ্দিকি?
ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে একথা ঘোষণা করে দিয়েছেন ইন্দোনেশীয়ার রাষ্ট্রপতি। তবে এই প্রথম নয়। করোনা মহামারীর সময়ও একাধিক দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে দেশের সরকার। সবকটিই যথেষ্ট ব্যতিক্রমী। এই সিদ্ধান্তও খানিকটা তেমনই বলে মনে করছেন অনেকেই। এর প্রভাব যে সুদূরপ্রসারী হবে, এই আশাও করছে ওয়াকিবহাল মহল। ঠিক যে আশা নিয়ে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সকলের ক্ষেত্রেই লাভবান হবে এমনটাই দাবি তাঁদের।