এর আগে পরকীয়া প্রসঙ্গে শাস্তির বিষয়টি তুলে দেওয়ায় অনেকে মনে করেছিলেন, পরকীয়াকে বুঝি বৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। এবার বিবাহিত হয়েও অন্য পুরুষের সঙ্গে সহবাসের ক্ষেত্রে এক মহিলাকে অনুমতি দিল সেই আদালতই। আদালতের যে রায় শুনে বিস্মিত অনেকেই। কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে শুনে নেওয়া যাক।
তিনি বিবাহিত। দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছেন স্বামীও। তবুও তাঁর অন্য পুরুষের সঙ্গে একসঙ্গে থাকা নিয়ে বাধা দিল না আদালত। বরং ওই মহিলার ইচ্ছা অনুযায়ীই তাঁকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সহবাসের অনুমতি দিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলার স্বামী। আর সেই মামলাতেই সওয়াল জবাব শেষে এই অভিনব রায় শুনিয়েছে জাস্টিস মনোজ কুমার তিওয়ারি এবং জাস্টিস পঙ্কজ পুরোহিতের ডিভিশন বেঞ্চ।
কী ঘটেছে ঠিক?
আরও শুনুন: স্তন ছোট বলে চিন্তা! জীবনে দ্বিতীয়বার বাড়ে স্তনের আকার, কত বয়স পর্যন্ত?
জানা গিয়েছে, মামলাকারী ব্যক্তি পেশায় একজন জিম ট্রেনার। স্ত্রীর নামে আদালতে হিবিয়াস কর্পাস পিটিশন দায়ের করেছিলেন তিনি। এই ধরনের আরজিতে কাউকে আদালতের সামনে উপস্থিত হতে বাধ্য করা হয়। যিনি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছেন, মূলত তেমন কোনও মানুষের মুখোমুখি হওয়ার জন্যই এই ধরনের মামলা দায়ের করা হয়। আর সেটাই করেছিলেন ওই মহিলার স্বামী। আদালতে তিনি নালিশ জানিয়েছিলেন যে তাঁর স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছেন। অন্য এক পুরুষের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সেই সম্পর্ককে অবৈধ বলে দাবি করে স্ত্রীকে তা থেকে সরিয়ে আনার জন্য আদালতের কাছে আরজি জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও শুনুন: রুখেছিলেন পারিবারিক ভাঙন, আম্বানিদের সাফল্য তাঁর আশীর্বাদেই, চেনেন এই ধর্মগুরুকে?
এই মামলার নিয়ম অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে তলব করে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। কিন্তু মহিলার বয়ান নিতেই কাহিনির মোড় ঘুরে যায়। ৩৭ বছরের ওই মহিলা জানান, স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন তিনি। স্বামীর পাশাপাশি ১০ বছরের মেয়ে ও ৬ বছরের ছেলেকেও তিনি ছেড়ে এসেছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে স্বামীর দুর্ব্যবহারকেই দায়ী করেছেন ওই মহিলা। আপাতত হরিয়ানার ফরিদাবাদ অঞ্চলে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকেন তিনি। ২০২২ সালের ৭ আগস্ট তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তারপর থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস