বাড়ল না মনোনয়নের সময়সীমা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই, রায় কলকাতা হাই কোর্টের। নির্দেশ ৭ স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও। মনোনয়ন জমা ঘিরে রণক্ষেত্র ভাঙড়। আপাতত ব্যস্ত নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়েই। সম্ভব নয় হাজিরা দেওয়া। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডিকে চিঠি লিখে জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়োগের অভিযোগ। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা ক্যারিবিয়ান বোর্ডের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বদলাতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের দিন, হাই কোর্টের দিকে তাকিয়ে রাজ্য
আরও শুনুন: 11 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মতুয়াদের বিবাদে উত্তপ্ত ঠাকুরনগর, মন্দিরে ঢুকতে পারলেন না অভিষেক
বিস্তারিত খবর:
1. বাড়ল না পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময়সীমা। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই, রায় কলকাতা হাই কোর্টের। আপাতত বহাল থাকছে কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই। তবে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ৭ স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রায় অনুযায়ী, মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না। রাজ্যের পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন। আইন অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করবে কমিশনই। খারিজ হয়ে গিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে নির্বাচনের আবেদন। অনলাইনে মনোনয়ন পেশের আরজিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে ভোটে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষেই মত দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিশেষ করে রাজ্যের যে ৭টি জেলাকে কমিশন স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেই সব ক’টি জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাই কোর্টের অভিমত, ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার করা যাবে না। ভয়মুক্ত পরিবেশের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিত কমিশনের। উপরন্তু সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি লাগানো যাবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে, এবং সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
2. পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা ঘিরে রণক্ষেত্র ভাঙড়। আহত বহু মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ পুলিশের। ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাসও। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার চতুর্থ দিনেও বাদ রইল না অশান্তি।
মঙ্গলবার সকালে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার। নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। আইএসএফের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। চলে বোমাবাজি, গুলিও। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী-সহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল এই কাজ করেছে, দাবি করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর মধ্যেই আবার বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুলের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি বোমা। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অশান্তির মাঝেও মনোনয়ন পেশ হয়েছে। তবে ঘটনায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।