নিয়মিত হস্তমৈথুনের অভ্যাস শরীরের ক্ষতি করে না। এমনটা প্রায়শই বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হস্তমৈথুনের সময় কয়েকটা বিষয় মাথায় না রাখলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ। এমনকি যৌনক্ষমতাও কমে যেতে পারে এর জেরে। ঠিক কোন বিষয়ের কথা বলা হচ্ছে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
হস্তমৈথুনে মানসিক শান্তি মেলে। একথা অস্বীকারের উপায় নেই। তাই নিয়মিত হস্তমৈথুনের অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। চিকিৎসকদের মতে এতে শরীরের ক্ষতিও হয় না। কিন্তু হস্তমৈথুন করার সময় কিছু নিয়ম না মানলে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ। বিশেষত পুরুষদের হস্তমৈথুনের সময় নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতির কথা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। অন্যথায় চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে যৌনক্ষমতা।
আরও শুনুন: পর্ন দেখেই নিয়মিত অভ্যেস হস্তমৈথুনের! বড্ড ভুল হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
হস্তমৈথুনের ভালোমন্দ নিয়ে বিভিন্ন মতামত দেন বিশেষজ্ঞরা। সেভাবেই উঠে এসেছে হস্তমৈথুনের সময় করে ফেলা কয়েকটা সাধারণ ভুলের প্রসঙ্গ। চিকিৎসকদের দাবি, অনেক পুরুষই নিজের অজান্তে হস্তমৈথুনের সময় এই কাজ করে ফেলেন। যা আদতে তাঁদের যৌনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রথমেই বলতে হয় হস্তমৈথুনের সময় বিভিন্ন রকমের ফ্যান্টাসির কথা। অনেকেই এইসময় নির্দিষ্ট কিছু কল্পনা করে সেইমতো হস্তমৈথুনের চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে নীলছবির প্রভাবও অবশ্যই থাকতে পারে। তবে সঙ্গমের সময় এই অভ্যাস রীতিমতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ একা একা হস্তমৈথুন করা আর কারও সঙ্গে যৌনতার মধ্যে বিস্তর ফারাক। অনেকেই হস্তমৈথুনের অভ্যাস সঙ্গমের সময় বজায় রাখতে চান, এতে সঙ্গীও যেমন অতৃপ্ত থেকে যান, তেমনই ক্ষতি হয় যৌনাঙ্গের। আসলে নীল ছবির দুনিয়াতে যৌন দৃশ্য যেভাবে দেখানো হয়, বাস্তবের সঙ্গে তার আকাশ-পাতাল ফারাক। এমনকী, ওই দৃশ্যে যাঁদের দেখানো হয়, তাঁদের শারীরিক গঠনও অন্যরকম হয়। ক্রমাগত পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে এই ভুল-দৃশ্য বা ভুল ধারণাই মাথার মধ্যে বাসা বেঁধে থাকে। তাই যারা হস্তমৈথুনের সময় নীলছবি দেখেন বাস্তবে যৌনতার সময় যথেষ্ট সমস্যায় পড়েন তাঁরা।
আরও শুনুন: ছোট হোক স্তনের আকার, আশায় সার্জারির দ্বারস্থ ১৫ হাজার ভারতীয় মহিলা, কেন এই প্রবণতা?
এরপর আসা যাক হস্তমৈথুনের পদ্ধতির কথায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় শরীরের অবস্থান যদি ঠিক না হয় তাহলেও মারাত্মক বিপদ। অনেকেই উপুড় হয়ে শুয়ে হস্তমৈথুনের চেষ্টা করেন। যা আদতে খুবই বিপজ্জনক। আবার অনেকের পেটের উপর বালিশ বা অন্য কিছু রেখে হস্তমৈথুন করেন। শরীরের জন্য এই অভ্যাসও ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের মতে, এর জেরে কমে যেতে পারে যৌনইচ্ছা। স্বাভাবিক ভাবেই যার প্রভাব পড়ে সঙ্গীর উপর। ফলে যৌনতৃপ্তি পাওয়াও অসম্ভব। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা হস্তমৈথুনের সময় যৌনাঙ্গ কীভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে সেই বিষয়টির উপর। যৌনাঙ্গে জোরে চাপ পড়লে তা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কিন্তু অনেকেই সাময়িক সুখের জন্য হস্তমৈথুনের সময় শক্ত ভাবে যৌনাঙ্গ ধরে রাখেন। এতে একদিকে যেমন যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে তেমনই সঙ্গমের সময় যৌন্তৃপ্তিতে ভাটা পড়তে পারে। আসলে এর জেরে পুরুষাঙ্গ নির্দিষ্ট চাপের প্রতি অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গমের সময় যোনিপথে সেই চাপ অনুভূত নাও হতে পারে। আবার হাতের মুঠো যেভাবে ইচ্ছামতো শিথিল বা শক্ত করা যায়, যোনিপথে তা সহজে হয় না। তাই হস্তমৈথুনের সময় হওয়া অভ্যাসের প্রভাব পড়ে সঙ্গমের সময়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে হস্তমৈথুন করলেও তা কখনই রুক্ষভাবে করা উচিত নয়। এমনকি গতির দিকেও খেয়াল রাখা উচিত। অন্যদিকে কোনও যন্ত্র বা যৌনখেলনা ব্যবহার করে হস্তমৈথুনেও বিশেষ সায় দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে নিজের হাত ব্যবহারের পরামর্শই দিয়েছেন তাঁরা। হস্তমৈথুনের সময় এই সাধারণ কয়েকটা নিয়ম মানলেই সুখের হবে যে কারও যৌনজীবন।