মতুয়াদের বিবাদে উত্তপ্ত ঠাকুরনগর। নবজোয়ারে গিয়েও মন্দিরে ঢুকতে পারলেন না অভিষেক। শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধে বিজেপিকে পালটা নেতার। চোখ রাঙাচ্ছে ‘বিপর্যয়’। দ্রুত বর্ষা ঢুকবে বাংলাতেও, খবর আবহাওয়া দপ্তরের। ফের লড়বেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে। বিতর্কের মধ্যেই ঘোষণা ব্রিজভূষণের। যৌন হেনস্তার প্রমাণ দিন, কুস্তিগিরদের পালটা চাপ দিল্লি পুলিশের। পরপর দুবার ফাইনালে উঠেও হাতছাড়া ট্রফি। ২৩৪ রানে অল আউট, ওভালে লজ্জার হার ভারতের। বিশ্বের টেস্ট চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অজিদেরই।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 10 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মনোনয়নে হামলার অভিযোগ বিরোধীদের, নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের
বিস্তারিত খবর:
1. নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরে পৌঁছানোর আগেই মতুয়াদের অন্তর্দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। মূল মন্দিরে ঢুকতে পারলেন না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বাইরে থেকে পুজো দিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন অভিষেক। শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধে বিজেপিকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তিনি।
এদিন সকাল থেকেই অভিষেকের কর্মসূচি সফল করতে না দেওয়ার লক্ষ্যে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। আসরে নামেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে সরব হন শান্তনুপন্থী মতুয়ারা। অভিষেক মন্দিরে ঢুকলে তা গোবরজল দিয়ে শুদ্ধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি সাংসদ। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদের মধ্যেই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়েন শান্তনু। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। যার দরুন হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আর প্রবেশ করা হয়নি অভিষেকের। এই সময় আগাগোড়াই তাঁর পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়েই শান্তনুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক জানান, তিন মাস অন্তর তিনি ঠাকুরনগরে যাবেন। অভিষেকের সাফ কথা, মন্দির কারও সম্পত্তি নয়। তাঁর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তার জবাব চাইবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর আহত শান্তনুপন্থী মতুয়া অর্থাৎ বিজেপি সমর্থকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে বিজেপি সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পালটা দেয় বিজেপি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব শান্তনু ঠাকুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ঠাকুরনগরে।
2. জল্পনা ছিল রবিবার হাত শিবির ছেড়ে নিজের দল ঘোষণা করবেন শচীন পাইলট। কিন্তু বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুদিনে চমক দিলেন রাজস্থান কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে দলে থাকারই ইঙ্গিত দিলেন তিনি। পাইলটের আচরণে অবশেষে স্বস্তিতে কংগ্রেস।
দীর্ঘদিন ধরেই গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব সামলাতে জেরবার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। শুরু থেকেই তরুণ নেতার দল ছাড়া এবং নতুন দল গঠনের জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছে দল। তবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলট তনয়ের সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে শচীনকে আদৌ নিরস্ত করা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। গত ২৯ মে দিল্লিতে দুই নেতাকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী। যদিও এরপরেও পাইলট নিজের অবস্থান থেকে সরতে রাজি ছিলেন না। এদিন সকালে বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি টুইটে লেখেন আপস না করার কথা। সেই বক্তব্যেও সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু এরপরেই সমঝোতার ইঙ্গিত দেন পাইলট। তাঁর কথায়, “সরকার পরিচালনায় গাফিলতি হলে দোষারোপ না করে তা শুধরে নেওয়া উচিত।” বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের মধ্যে শচীনকে পাশে পাওয়ায় রাজস্থানে যে কংগ্রেসের জমি শক্ত হল, তা বলাই যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।