গরমে জেরবার অবস্থা। এসি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকার কথা ভাবাই যাচ্ছে না। ঘরে হোক বা অফিসে সারাদিন চলছে এসি। কিন্তু এর জেরে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো? শুধুমাত্র শরীরের নয় সারাদিন চললে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে যন্ত্রটিরও। কীভাবে বাঁচবেন সেই বিপদ থেকে? আসুন শুনে নিই।
গরম যেন বেড়েই চলেছে। এদিকে বাড়ির আশেপাশে গাছপালার চিহ্নমাত্র নেই। তাই গরম থেকে বাঁচতে এসি ছাড়া উপায় নেই। একবার এসি চালিয়ে ঘরটা ঠান্ডা করে নেওয়া। তাতেই শান্তি। কিন্তু অনেক সময় স্রেফ এটুকু করলেও স্বস্তি মেলা দায় হয়। কারণ এসি বন্ধ করলেই তো যে কে সেই! তাই বাধ্য হয়েই অনেকে সারাদিন ধরে বাড়িতে এসি চালিয়ে রাখেন। কিন্তু এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। শুধুমাত্র শরীরের নয়, সারাদিন এসি চললে ক্ষতি হতে পারে ওই যন্ত্রটিরও।
আরও শুনুন: এসি-র বিলে কপালে ঘাম! খরচ কমিয়েও গরমে ঘর ঠান্ডা থাকবে কোন কৌশলে?
সারাদিন এসি চললে অবশ্যই বাড়ির বিদ্যুতের খরচ বাড়বে। সেইসঙ্গে চাপ পড়বে ট্রান্সফরমারের উপর। একইসঙ্গে কেউ যদি মাইক্রওয়েভ, গিজার জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করেন তাহলে সেই চাপ আরও বাড়তে পারে। ফলত পুড়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগের তারগুলি। একটা নির্দিষ্ট সীমার উপর বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সেই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা অনেক তারেই থাকে না। একবার এমনটা হলে সারা বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে যেতে পারে। তাই সারাদিন এসি চালাতেই যদি হয় তাহলে মাথায় রাখতে হবে, সেইসময় মাইক্রোওয়েভ বা গিজার জাতীয় যন্ত্র না চালানোই ভালো। এবার আসা যাক এসির প্রসঙ্গে। যে কোনও যন্ত্রই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালানো উচিত। তারপর অবশ্যই তার বিশ্রাম প্রয়োজন। নাহলে ভিতরের যন্ত্রাংশ বিকল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। এসির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। সারাদিন এসি চালালে নষ্ট হতে পারে এর ভিতরের যন্ত্রাংশগুলি। ফলে যে কোনও মুহূর্তে খারাপ হতে পারে গোটা যন্ত্রটাই। এছাড়া অনেকেই জানলা ঠিক মতো বন্ধ না করে এসি চালিয়ে রাখেন। এর ফলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ। এমনকি এসিতে আগুনও ধরে যেতে পারে। তাই এসি চালানোর সময় অবশ্যই দরজা-জানলা ঠিকমতো বন্ধ হয়েছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। এখানেই শেষ নয়। অনেক সময় এলাকায় ভোল্টেজ ওঠানামা করে। এমন অবস্থায় এসি চললে ঘর ঠিক মতো ঠান্ডা হবে না। উলটে বিদ্যুতের উপর চাপ বজায় থাকবে একইভাবে। ফলে যে কোনও মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা।
আরও শুনুন: বাড়ি ফিরেই ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাচ্ছেন! হার্টের সমস্যা ডেকে আনছেন না তো?
এছাড়া এসি কেনার সময়ও দেখে নেওয়া উচিত তার ক্ষমতা কতটা। ‘ফাইভ স্টার’ মার্ক যুক্ত এসি এক্ষেত্রে সবথেকে উপযুক্ত। এতে বিদ্যুৎ সংযোগও খানিক কম হয়। পাশাপাশি এসি নিয়মিত সার্ভিসিং করানো উচিত। কোনওভাবেই এসিতে ধূলো জমতে দেওয়া উচিত নয়। এর জেরেও এসি খারাপ হতে পারে। নির্দিষ্ট এই নিয়ম মেনে এসি চালালে তেমন অসুবিধা হওয়া উচিত নয়।