যৌনজীবনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কত না আদবকায়দা! রমণীয় পরিবেশে যৌনতায় মেতে উঠতে রাজকীয় আয়োজনেও পিছপা হন না কেউ কেউ। কিন্তু তা সত্ত্বেও হয়তো সেভাবে যৌনতৃপ্তি মেলে না। সেখানে বাজিমাত করতে পারে ছাপোষা একটা নরম তুলতুলে ব্ল্যাঙ্কেট। কেনই বা চাদরের আদরে বাড়ছে যৌন উদ্দীপনা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শরীরে সুতোটি রাখার দরকার নেই। তবে অনাবৃত দুই শরীর ঘিরে থাকুক নরম তুলতুলে একখানা ব্ল্যাঙ্কেট। আর সেই চাদরের আদরে-ওমেই যৌনতার আঁচ বেড়ে যেতে পারে অনেকখানি। যৌনতা নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন সম্প্রতি যুগলদের মধ্যে ব্ল্যাঙ্কেটের চাহিদা তুঙ্গে। কারণ একটাই, যৌনজীবন মোহময় হয়ে উঠছে এই চাদরের নরম মোহময় স্পর্শেই।
আরও শুনুন: বাড়িতে কড়া শাসন, পর্নদুনিয়ায় পা রেখে তবু মিয়া খালিফা হওয়ার স্বপ্ন মুসলিম তরুণীর
আসলে কী এই সেক্স ব্ল্যাঙ্কেট? বলা যেতে পারে, তা হল বিশেষ এক ধরনের চাদর। সাধারণ চাদর থেকে একটু আলাদা। নরম, তুলতুলে, মোলায়েম। যার পশমী স্পর্শ শরীরে জাগায় শিহরণ। আর সেই শিহরণের সঙ্গেই যদি মিশে যায় সঙ্গী কিংবা সঙ্গীনীর শরীরী নগ্নতা, তবে যৌনতার উত্তাপ যেন একটু বেশিই ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের চাদর আসলে বেশ কার্যকরী। প্রথমত, এই চাদর তরল পদার্থ শুষে নিতে পারে। ফলে যৌনতার জায়গা বা স্থান নিয়ে যুগলদের মাথা ঘামানোর দরকারই পড়ে না। হতে পারে তা বিছানা বা সোফা। কিংবা অন্য কোথাও। স্রেফ একটা ব্ল্যাঙ্কেটের আবরণই দুজন নগ্ন মানব-মানবীকে দিতে পারে আলাদা পৃথিবী। তা যেমন গোপন তেমন আপন। সেই আপন-পৃথিবীর ভিতর কোনও কিছুরই টেনশন নেই। শরীরে শরীর মিশিয়ে পাওনা কেবলই উপভোগ্য উষ্ণতা। কেউ কেউ বলছেন, যৌনতার সময় আশপাশের পরিবেশ, এবং যৌনতা পরবর্তী গোছাগাছ ইত্যাদি বিষয়ে ভাবনা মনের মধ্যে চলতে থাকে। সেইসব কারণে যৌনতায় রত হয়েও যুগলের মন বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকতে পারে। নানা চিন্তার কারণে যৌনতায় ছন্দপতন ঘটে থাকে প্রায়শই। এই ব্ল্যাঙ্কেট সেখানে এমন এক নির্ভরতা জোগায় যে, কোনও কিছু নিয়েই আর টেনশন থাকে না। তার উপর যেহেতু তরল শুষে নিতে পারে, ফলে কোনও জায়গা নোংরা হওয়ারও কোনও ভয় থাকে না। যৌনতা শেষে সেটিকে শুধু তুলে রেখে দিলেই হবে। বিশেষ পরিষ্কারেরও বালাই নেই। পরে যে কোনও সময় একবার ধুয়ে নিলেই হল। অনেক সময় ঋতুকালে কেউ সঙ্গমে মেতে ওঠেন। সেক্ষেত্রে হাজার চিন্তা মাথার ভিতর ঘুরপাক খায় আর রতিবিলাসে ব্যাঘাত ঘটায়। এই ব্ল্যাঙ্কেট সেই সব টেনশন থেকে মুক্তি দেয় যুগলকে।
আরও শুনুন: চলন্ত গাড়িতে চালকের সঙ্গেই মত্ত ‘বিপজ্জনক’ যৌনতায়, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন পর্নতারকা
তবে এর মূল চাহিদা কিন্তু এর আদুরে ভাবের জন্যই। মোলায়েম স্পর্শের দরুনই মূলত নগ্ন শরীরকে উদ্দীপ্ত করে এই ব্ল্যাঙ্কেট। যৌনতার আগে এই উদ্দীপনা যেন যুগলদের অনেকখানি ঘন যৌনতায় রত হতে সাহায্য করে। তা ছাড়া সহজে এই ব্ল্যাঙ্কেট সঙ্গে নিয়েও কোথাও বেরোনো যায়। তাই সপ্তাহান্তে ছুটির ফাঁদে পা দিয়ে যদি যৌনতাপে মজে যেতে ইচ্ছে করে, অথচ অচেনা পরিবেশের জন্য অস্বস্তি হয়, তবে মুশকিল আসান এই সেক্স ব্ল্যাঙ্কেট। আর তাই যুগলদের মধ্যে এমন জিনিসের চাহিদা যে তুঙ্গে হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।