যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের তাবড় তাবড় কুস্তিগিররা। প্রতিবাদস্বরূপ নিজেদের পদকগুলিও গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তাঁরা। এবার কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের এহেন পদক্ষেপ না করার আরজি জানালেন ‘৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। মোদির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন কীর্তি আজাদ? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
যৌন হেনস্তা করেছেন কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং, এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন একের পর এক কুস্তিগির। তবুও হেলদোল নেই কেন্দ্র সরকারের। বহাল তবিয়তেই গদি আঁকড়ে রেখেছেন ওই বিজেপি সাংসদ। এদিকে ধরনায় বসার অপরাধে রীতিমতো পুলিশি আক্রমণ নেমে এসেছে পদকজয়ী কুস্তিগিরদের উপরেই। তবুও মাথা নোয়াননি বিনেশ-সাক্ষী-সঙ্গীতারা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এতদিনের পরিশ্রমের ফসল যে পদকগুলি, সাক্ষীর অলিম্পিক মেডেল, বিনেশের এশিয়ান গেমসের সোনা, এই সবকিছুই গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন তাঁরা। তবে ইতিমধ্যে তাঁদের এহেন পদক্ষেপ না নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন ‘৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী টিম ইন্ডিয়ার অধিকাংশ সদস্য। আর এবার সেই দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজাদ সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। সাফ জানালেন, ১৯৮৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাঁরা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তেমনই কুস্তিগিররাও কেউ নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপির জন্য পদক জেতেননি। তাঁরা পদক জিতেছেন দেশের জন্য। সুতরাং বিজেপি সরকারের কাজের প্রতিবাদে নিজেদের কষ্টার্জিত পদক বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।
আরও শুনুন: এ কোন ‘অমৃতকাল’! সাক্ষী-ভিনেশরা মাটিতে পড়ে, মাটিতে মিশল দেশের সম্মানও
সতীর্থ কপিলদেব, সুনীল গাভাসকরের মতো কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন কীর্তি। তবে এখানেই থেমে যাননি তিনি। আসলে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভায় তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে, এবং ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ফলে বিরোধী নেতা হিসেবেও বিজেপি শিবিরের দিকে তোপ দাগতে ছাড়েননি তিনি। তিনি আরও বলেছেন, পদক এবং পদকজয়ীদের সঙ্গে সবসময়েই ছবি তুলেছেন মোদি। সাক্ষীকে এমনকি হরিয়ানার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের মুখ করেছিল বিজেপি। অথচ কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে কোনও বার্তা দেয়নি সেই বিজেপি শিবিরই। বিনেশ-সাক্ষীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাই এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানিয়েছেন কীর্তি আজাদ।