প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ন-বছর কাটিয়ে দিলেন মোদি। এই উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। গুণগান করতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চেয়েও উচ্চ আসনে বসিয়েছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন খট্টর? আসুন শুনে নিই।
নরেন্দ্র মোদি, এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। এমনকি স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও নয়। দেশ স্বাধীন করতে তাঁদের হাজারও অবদান থাকলেও, মোদির মতো দেশপ্রেমিক কেউ নন। আর এমন দাবি কোনও অন্ধভক্তের নয়। খোদ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি ন-বছর অতিক্রম করেছেন। সেই উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এহেন মন্তব্য করেছেন খট্টর।
আরও শুনুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ চললে মোদি তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা কেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন তৃণমূল নেতার
তাঁর দাবি, দেশের জন্য অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীই প্রাণ দিয়েছেন। অনেক রাজনৈতিক নেতা দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করেছেন। তবু মোদির মতো নন তাঁদের কেউই। আমাদের দেশ মোদির মতো নেতা আগে পায়নি, এমনটাও সাফ জানিয়েছেন খট্টর। সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্য হিসেবে নয়। মোদিকে সর্বকালের সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের শ্রদ্ধা করা উচিত। খট্টরের দাবি, মোদির কাছে সবার আগে দেশ ও দেশের জনগন। দেশের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থে সবকিছু করতে পারেন মোদি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন মোদি। এদিন নিজের বক্তব্যে সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন খট্টর। তাঁর কথায়, মোদিকে ‘বস’ হিসেবে মেনে নিয়েছেন অন্যান্য দেশগুলি। যদিও এই মন্তব্যের নেপথ্যে এক বিশেষ কারণ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মোদিকে ‘বস’ হিসেবেই সম্বোধন করেছিলেন। সে কথা মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য করেছেন খট্টর।
আরও শুনুন: তিন তালাক নিষিদ্ধ হতে হিতে বিপরীত! বাড়ছে মুসলিম মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রবণতা
তবে এরপরই এক পুরনো প্রসঙ্গে ফিরে যান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ২০১৪ সালে হরিয়ানায় লিঙ্গবৈষম্যের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেইসময় প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁকে টেলিফোন করেছিলেন। মোদির পরামর্শ মতোই বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি শুরু হয় রাজ্যে। যার বর্তমান ফলাফল সকলেরই জানা। রাজ্যের মেয়েরা স্কুলমুখি হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে শিক্ষার হারও। আর এই সবকিছুর জন্য মোদিকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন খট্টর। শুধু নিজের রাজ্য নয়। দেশের উন্নতির নেপথ্যেও রয়েছেন মোদিই। তাই শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি মোদিকেই তিনি শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন।