এগরা বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর। তুলে দিলেন নিয়োগপত্র ও চেক। স্বজনহারাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা মমতার। অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে কুড়মি বিক্ষোভের জের। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের। আদিবাসী মেয়ের গায়ে হাত, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীও। জঙ্গলমহল থেকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দলের নেতা-কর্মীদের। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের পথে বাড়ল জট। বাংলা, দিল্লির পথেই হাঁটল আরও ৬ রাজ্য। নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত ৮ মুখ্যমন্ত্রীর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সংসদের নতুন ভবন উদ্বোধনে বাধা নেই মোদির, রায় সুপ্রিম কোর্টের
বিস্তারিত খবর:
1. বিস্ফোরণের এগারো দিন পর এগরার খাদিকুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্ফোরণ কাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর। নিহতদের পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন তিনি। দিলেন পরিবারপিছু একজনের হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও। প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খুদে সদস্যদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতি নয়, সকলকে সাহায্য করাই তাঁর লক্ষ্য, এ কথা জানিয়ে মমতার অভিযোগ, এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে অনেকে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।
১৬ মে এগরার খাদিকুল ব্লকে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ-সহ তেরোজনের। তাঁর পরিবারের দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার ঘটনায় প্রশাসনিক গলদের কথা স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “এগরার ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। এবার থেকে বাজি কারখানায় আর ফায়ার ক্র্যাকার নয়, গ্রিন ক্র্যাকার তৈরি হবে। বিস্ফোরণে প্রাণহানি রুখতে ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। আমরা মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করেছি।” বাংলা থেকে ওড়িশার মতো পড়শি রাজ্যে বাজি রপ্তানি হয়, এই অভিযোগ করে পুলিশকে বাংলার বর্ডার সিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি চলাকালীন কুড়মি বিক্ষোভে গড় শালবনিতে ধুন্ধুমার। ঘটনায় তৎপর প্রশাসন, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার চারজন। ধৃতদের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার অভিষেকের সভায় যোগ দিতে গোপীবল্লভপুরের দিকে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে একদল কুড়মি বিক্ষোভকারী তাঁর উপর হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। ঘটনার জেরে গোপীবল্লভপুরের অধিবেশন থেকে বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে বিবৃতি দাবি করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন এই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার শালবনিতে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির মঞ্চে তাঁর সাফ কথা, “কুড়মিদের নাম নিয়ে বিজেপির স্লোগান তুলে এই কাজ করেছে বিজেপি। আদিবাসী মেয়ের গায়ে হাত দিয়েছে! অভিষেকের কনভয়ে হামলার চেষ্টা করেছে!” যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন ঘাঘর ঘেরাও কমিটির সদস্য রাজেশ মাহাতো। মন্ত্রী ও বিধায়কের গাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।