যৌনতা মানেই বেশ উপভোগ করার মতো বিষয়। কিন্তু কোনও কিছুই যে অতিরিক্ত ভালো নয়, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এই ব্যক্তি। উদ্দাম যৌনতায় মেতে নিজের পুরুষাঙ্গটিই খোয়াতে বসেছেন তিনি। ঠিক কী ঘটেছে? আসুন শুনে নিই।
পর্দার যৌনতা আর বাস্তবের যৌনতায় বিস্তর ফারাক। কিন্তু অনেকেই তা মানতে চান না। পর্ন ভিডিও-য় দেখা কৌশল অনুসরণ করতে চান নিজের জীবনে। এর জেরে দুর্ঘটনাও ঘটে। অনেকেই চিরতরে হারিয়ে ফেলেন যৌনক্ষমতা। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে। মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই চিরতরে হারাতে বসেছেন নিজের পুরুষাঙ্গ।
আরও শুনুন: নীল ছবিতে উদ্দাম যৌনতা দেখতে ভালবাসেন অনেকেই… কেমন ছিল প্রথম পর্ন ছবি?
ঘটনাটি মার্কিন মুলুকের। এমনিতেই সে দেশের অধিকাংশ মানুষজনই যৌনতা নিয়ে বিশেষ ছুঁতমার্গ রাখেন না। অনেকেরই একাধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে। নিয়মিত যৌনতার অভ্যাসও রয়েছে অনেকেরই। এই ব্যক্তিও সেই দলেই পড়েন। কিন্তু স্রেফ যৌনতা নয়। সেখানে চরম উন্মাদনা, তাঁর বিশেষ পছন্দের। প্রায়শই সঙ্গিনীর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে ওঠেন তিনি। অবশ্যই এ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। কিন্তু এর জেরে এমন বিপদও হতে পারে তা ভুলেও ভাবেননি তিনি। এদিনও তেমনটাই করেছিলেন। কিন্তু চরম মুহূর্তে তাঁর খেয়াল ছিল না, পুরুষাঙ্গ আদৌ সুরক্ষিত আছে কি না। উন্মাদনার জেরে ভুল করে সঙ্গিনীর যোনিপথের বদলে তার খানিকটা নিচে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন তিনি। এবং তিনি এতটাই মত্ত ছিলেন যে রীতিমতো গায়ের জোরে সেই কাজ করার চেষ্টা করেন। ঘটনার জেরে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর যৌনাঙ্গ। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেইসঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা। প্রথমে ঠিক কী হয়েছে, তা বুঝতে পারেননি ওই ব্যক্তি। অগত্যা যন্ত্রণা নিয়েই হাজির হন চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি যা জানতে পারেন তা আরও ভয়ংকর। চিকিৎসকের দাবি, তাঁর যৌনাঙ্গ তিনটে টুকরোয় ভেঙ্গে গিয়েছে। এদিকে পুরুষ যৌনাঙ্গে তো কোনও হাড় থাকে না। তাহলে তা আদৌ ভাঙা সম্ভব? আপাতভাবে হয়তো নয়। কিন্তু এই ব্যক্তির যে অবস্থা হয়েছে, তা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘পেনিস ফ্র্যাকচার’। মারাত্মক কোনও আঘাত না পেলে এমনটা হয় না। কিন্তু এই ব্যক্তি যা করেছেন তা ভয়ানক আঘাত পাওয়ার থেকে কিছুমাত্র কম নয়। বারবার একই জায়গায় যৌনাঙ্গ প্রবেশের চেষ্টা করে এই বিপদ ঘটিয়েছেন তিনি। যদিও চিকিৎসার জোরে আপাতত তিনি সুস্থ। তবে আগের মতো উদ্দাম যৌনতা থেকে বিরত থাকার পরামর্শই তাঁকে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।